বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

কর্মচারীদের আন্দোলন

চার ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত বিএসএমএমইউ ভিসি শারফুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

চার ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত বিএসএমএমইউ ভিসি শারফুদ্দিন

কর্মচারী নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে অবরুদ্ধ হওয়ার চার ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ৯টায় শুরু হওয়া অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি বেলা ১টায় স্থগিত করা হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপাচার্যের অবরুদ্ধ থাকার কথা অস্বীকার করেছে। 

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নুরে আলম দিপু ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 


বিজ্ঞাপন


দিপু জানান, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মহান জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেই কোনো পূর্ণাঙ্গ কর্মচারী চাকরি নীতিমালা। যার জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিকভাবে অনেকেই সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন। এখানে ১৬তম গ্রেডের ওয়ার্ড মাস্টার থেকে প্রশাসনিক কর্মকতা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি ওয়ার্ডবয় থেকে সেকশন অফিসার পর্যন্ত হয়েছেন। বিগত ৩ বছর যাবত নির্বাচিত ৩টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল কর্মচারীরা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি নীতিমালা’ প্রণয়নের দাবি করে আসছিল। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন নানান টাল বাহানা করে কেবল কালক্ষেপণ করেছে। 

তিনি বলেন, দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে উপচার্য মহোদয়ের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। আমরা তাকে অবরুদ্ধ করেছিলাম। পরে বেলা ১টায় অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দিন সিদ্দিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের  ফেরত যেতে বলেছেন। এটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং কিছু সংশোধনী এসে আগামী ১৮ তারিখ এটার একটা খসড়া জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। এ আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা অবরোধ কমসূচি স্থগিত করেছি।

তবে এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। প্রয়োজনের বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মসিউজ্জামন শাহীন বলেন, নীতিমালা প্রণয়নে দ্বায়িত্বরত কমিটি ভিসি স্যারের নির্দেশ থাকা সত্বেও নানা অজুহাতে শুধু সময় নষ্ট করেছেন। উনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তা মেনে নিয়েছি। তবে আগামী ১৮ মার্চ নীতিমালা প্রণয়ন করা না হলে কঠোর আন্দোলন ডাকা দেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন


সাধারণ সম্পাদক নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ বলেন, নীতিমালা সকল কর্মচারীদের প্রাণের দাবি। এই নীতিমালার অভাবে আমরা সকলেই আজ নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।

চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন না হলে অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রশাসনকে অচল করে দেওয়া হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নওরীন আক্তার, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লোকমান মিয়াসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মচারী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শারফুদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ অবরুদ্ধের কথা অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত সুব্রত বিশ্বাস ঢাকা মেইলকে বলেন, একটা জটলা রয়েছে। কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে স্যারের কাছে এসেছে। তবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্যারসহ আমাদের কার্যালয়ে লোকজন আসা যাওয়া করছে।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর