শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

স্বাস্থ্যসেবার পরিধি গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছাতে কাজ করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

স্বাস্থ্যসেবার পরিধি গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছাতে কাজ করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যসেবার পরিধি গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এ সময় আয়োজনের প্রশংসা করে এমন কর্মসূচিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার আহ্বান জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


ডা. সামন্ত লাল বলেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়, এর পরিধি একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেটাই চান। আমরা স্বাস্থ্যসেবার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে কাজ করতে হলে চিকিৎসকদের সুযোগ সুবিধাগুলোও ভাবতে হবে। নার্সদের নিয়ে আমাদের আরও পরিকল্পনা করতে হবে। আজকের এই আয়োজন প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া সরকারের কাজকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

সামিটের প্রশংসা করে সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসা প্রশিক্ষণার্থী বিনিময় কর্মসূচির মতো উদ্যোগগুলো শুধু আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে না বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকেও সমৃদ্ধ করবে। দেশে এবং দেশের বাইরে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এ ধরণের প্রোগ্রামে তৃণমূলের চিকিৎসকদের যুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নার্সদের গুরুত্ব অপরিসীম। চিকিৎসকদের পাশাপাশি তাদের নিয়েও এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা যায়। 

health-3সভাপতির বক্তব্যে প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়ার চেয়ারপারসন ডা. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মেডিকেল চিকিৎসার শিক্ষাক্রমে যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের মেডিকেল শিক্ষা চার থেকে পাঁচ বছর পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সঙ্গে মিলে কারিকুলাম উন্নয়নের চেষ্টা করছি। আশা করি ৪-৫ বছরের মধ্যে একটি কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের সিইও ডা. মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ।  


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার (পিএইচএ) ট্রাস্টি ডা. নাসির খান। এছাড়া রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস এডিনবার্গ, রয়েল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন, ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন, আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এর প্রেসিডেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন।

health-2

সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কৃতরা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বায়েজিদ সরকার, রংপুর মেডিকেল কলেজের সজিব মিয়া, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পলাশ হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজের তাহসিন আহমেদ আলভী, রংপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাহবুব আলম।

২০২৩ সালে শিক্ষা, চিকিৎসা শাস্ত্রে, স্বাস্থ্যসেবা তথা জনস্বার্থে বিশেষ অবদানের জন্য আটজন চিকিৎসককে অনারারি ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্। অনারারি ফেলোশিপ পাওয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসকরা হলেন- ডা. সারাহ ক্যাথরিন ক্লার্ক, অধ্যাপক টিমোথি গ্রাহাম, ডা. রানী ঠাকুর, ডা. ফ্রাজ মীর, ডা. রোয়ান বার্নস্টেইন, অধ্যাপক ডেভিড ট্যাগার্ট, ডা. জগৎ নরুলা এবং ডা. সার্জিও লারাচ। 

উল্লেখ্য, সামিট-২০২৪ এ দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। স্পিকার হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও বেশি খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। নয়দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন। দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন শুধু বাংলাদেশেই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।

এমএইচ/এমআর

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর