নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন

এর আগে, বুধবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়া ৩৬ জনের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এতে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে ডাক পান অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন।

এক নজরে সামন্ত লাল সেন:

অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেন্ট ফিলিস হাইস্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে ‘ডিপ্লোমা ইন স্পেশালাইজড সার্জারি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া জার্মানি ও ইংল্যান্ডে সার্জারির উপর আরও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন প্রখ্যাত এই সার্জন।

একাডেমিক জীবনের মতো কর্মজীবনেও সাফল্যের অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন ডা. সেন। এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৭৫ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরে ঢাকায় বদলি হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেলে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল এই বিভাগ চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পরবর্তীতে ২০০৩ সালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য স্বতন্ত্র একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি এ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। পরে সরকার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। পরবর্তীতে এই ইউনিটটিকে স্বতন্ত্র একটি ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করা হয়। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নামকরণ করা হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চালুর পর ২০১৯ সালের ৪ জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক সামন্ত লাল। বর্তমানে তিনি জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশ বরেণ্য এই চিকিৎসক ২০১৮ সালে চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ পান। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এমএইচ/এমএইচএম