মেট্রোরেলের বহুল কাঙ্ক্ষিত কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশন চালু হয়েছে। আর এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মেট্রোরেলের শাহবাগ স্টেশন চালু উপলক্ষে আনন্দ র্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক রোগীর সংখ্যা সাত থেকে আট হাজার। পদ্মা সেতু হওয়ায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক রোগীর সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর শাহবাগ স্টেশন চালু হওয়ায় দৈনিক রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। বাড়তি রোগীদের যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন বলেই আমরা মেট্রোরেল পেয়েছি, পদ্মা সেতু পেয়েছি, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ পেয়েছি। নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হয়েছে। এরকম অসংখ্যা বিস্ময়কর সাফল্য ও অর্জন রয়েছে। এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ভোটারদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে।
এ সময় দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের আগুন সন্ত্রাস, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া ও অগ্রগতিতে রুখে দিতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
এদিকে কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশন চালু হওয়ায় এ দুটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে এবং বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। এর মাধ্যমে মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত সবগুলো স্টেশন চালু হল। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর শাহবাগ স্টেশন চালু হওয়ায় বিএসএমএমইউর শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকলের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশন চালুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শাহবাগ স্টেশন থেকে টিকিট কিনে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন।
আনন্দ র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল. শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহামস্মদ হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/জেবি