মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অনিদ্রা-নাক ডাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে অনিদ্রা-নাক ডাকা
গবেষণার ফলাফল ও প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে অনিদ্রা, নাক ডাকা, অতিনিদ্রা, ঘুম-সজাগ চক্রের ব্যাধি ও নিদ্রাজনিত বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রোগের কারণে ডায়াবেটিস, স্টোক, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুমের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব, ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণার ফলাফল ও প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে অনিদ্রা, নিদ্রাকালীন শ্বাস রোগ যেমন: নাক ডাকা, অতিনিদ্রা, ঘুম-সজাগ চক্রের ব্যাধি, ঘুম সংক্রান্ত চলাফেরা ও নড়াচড়া, নিদ্রাকালীন অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ইত্যাদি রোগে ভুগছেন। এসব রোগের কারণে ডায়াবেটিস, স্টোক, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অনেকে ঠিক মতো ঘুম না হওয়ায় অফিসে কাজে অমনোযোগী থাকেন, মেজাজ খিটখিটে থাকে, কলিগদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে।

গবেষণার বিষয়ে বক্তারা বলেন, এটি সম্পন্ন হলে ঘুমজনিত রোগের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। ঘুমের মধ্যে আরও কি কি সমস্যা ও রোগ রয়েছে এবং সে কারণে অন্যান্য রোগের ওপর কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। যা ঘুমের সমস্যা সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন

সুপার স্পেশালাইজডে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট শুরু ২৮ ডিসেম্বর

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষিতে গবেষণায় বড় সাফল্য এসেছে। গবেষণার মাধ্যমে ইরি-বিরিসহ ফসল পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার মাধ্যমে অনুরূপ সাফল্য এখনও পর্যন্ত দেখানো যায়নি। গবেষণার মাধ্যমে কৃষির মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ স্বাস্থ্যখাতেও রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে অনুরূপ সাফল্য নিশ্চিত করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছে। করোনা পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করে ২৫০ টাকায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। করোনার দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সংক্রান্ত এন্টিবডির দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্ধত্ব প্রতিরোধে গ্লুকোমা স্ক্রিনিং এবং এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা হয়েছে।

এসময় আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর শত কোটি টাকার সমন্বিত গবেষণা প্রকল্প থেকে বিএসএমএমইউ'র শিক্ষক, চিকিৎসকরা ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ।

সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ'র উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা খাতে গবেষণার জন্য অব্যাহতভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। আজকের ঘুম সংক্রান্ত রোগ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি নিয়ে যে গবেষণা কার্যক্রমটি হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটাও প্রধানমন্ত্রীর শত কোটি টাকার সমন্বিত গবেষণা প্রকল্পেরই অংশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস তার নেতৃত্বেই ২০৪১ সালের মধ্যে গবেষণার ক্ষেত্রেও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন পূরণ হবে।

এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর