বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

কর্মসূচি না নিলে প্রতি বছরই ডেঙ্গু ভোগাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

কর্মসূচি না নিলে প্রতি বছরই ডেঙ্গু ভোগাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাগুলোর বছরব্যাপী কর্মসূচি প্রয়োজন। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি। অন্যথায় প্রতি বছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে। কাজেই আমাদের মশা কমাতে হবে। মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙ্গিনা, ঘরের ভেতর নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। এর বাইরে ডোবানালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা পরিষ্কার করবে। তাদের সব সময় বলা হচ্ছে, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে। আইভি ফ্লুয়িড বা স্যালাইনের কোনো অভাব নেই। ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনো আছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। শঙ্কার বিষয় বর্তমানে ঢাকার বাইরে মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

DD!

ঢাকার বাইরে মৃত্যু বাড়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে। ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিকাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী সক সিনড্রোমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মৃত্যুবরণ করেন। নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের প্রতি আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। তাদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যু হার কমে যাবে।


বিজ্ঞাপন


এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, কিটের পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও প্রদান করবে। এর মধ্যে ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার এবং ব্লাড ব্যাগ রয়েছে।

এসব জিনিস ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়। এগুলো দেশে রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে পাওয়ায় দেশে হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর