দখল করতে চার দিন আগে রাজধানীর বনানীতে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে তালা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আবুল খায়ের।
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করতে আইন আদালতকে তোয়াক্কা করা হয়নি। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একটি কুচক্রী মহল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক তা বন্ধ করে দিয়েছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও ভবনটি দখল করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।’
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন খন্দকার আবুল খায়ের।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ব্যবহার করে একটি কুচক্রী মহল বেআইনিভাবে প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযানের দিন আসা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখাতে পারেনি। শুধু বলছে আপনারা দ্রুত মালামাল সরিয়ে নেন। এজন্য কোনো কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। তারা আমাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে পারে, কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে। কিন্তু আমরা কবে মালামাল সরিয়ে নেব তাতো বলতে পারে না। তারা যেহেতু মালামাল সরিয়ে নিতে বলছে অবশ্যই তাদের অভিপ্রায় আছে।’
খন্দকার আবুল খায়ের অভিযোগ করে বলেন, ডায়াগনেস্টিক সেন্টারটি গত ১৬ বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি ৬ কোটি টাকা দলিলমূল্যে ভবনটি কিনে নেয় ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এই সম্পত্তির দাম ৪৫ কোটি টাকার বেশি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নামমাত্র মূল্যে এই সম্পত্তি কিনে নিলেও বাড়ি ছাড়ার কোনো নোটিশ দেয়নি তারা। বরং তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ব্যবহার করে এই প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে এখন প্রায় দুই শ কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত। এছাড়াও ৫০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত চেম্বার করে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি পরিদর্শন দল সেখানে যায়। এরপর ১৮ মে তারিখ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও লাইসেন্স স্থগিত করার আদেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আবুল খায়ের জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আপিল করা হয় ৭ জুন। নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করেন তারা। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটটি এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। হাইকোর্ট খুললে সেটির শুনানি হবে।
এমআর

