বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘আজমির-৯২’ ছবির বিরুদ্ধে সোচ্চার মুসলিম সংগঠনগুলো

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

‘আজমির-৯২’ ছবির বিরুদ্ধে সোচ্চার মুসলিম সংগঠনগুলো

বিতর্কেই লক্ষ্মীলাভ। এই বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে চলেছে বলিউড। সাম্প্রতিক ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পর নতুন দুটি ছবির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দুটিই নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেবে বলে মনে করছেন সিনেপ্রেমীরা। এই মুহূর্তে চর্চায় রয়েছে আরেক ছবি ‘আজমির-৯২’। মুক্তির ঢের আগেই ছবিটি বয়কট করার ডাক উঠেছে।

অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি শাহাবুদ্দিন রাজভি বরেলভির দাবি, এই ছবি মুক্তি পেলে সমাজে ভাঙন ধরবে। এর মাধ্যমে ভুল বোঝানো হবে মানুষকে। তাই অবিলম্বে ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


কিন্তু ছবিটিতে কী এমন রয়েছে যে এত বিতর্ক, এত শোরগোল? ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য কেন উঠেপড়ে লেগেছে মুসলিম সংগঠনগুলো? শোনা যাচ্ছে, ১৯৯২ সালে আজমিরে ঘটে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মেয়ের ওপরে বীভৎস গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসতে চলেছে এই ছবিতে। আর তা জেনেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেছে ধর্মীয় সংগঠনগুলো।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ১৯৯২ সালে রাজস্থানে একটি গ্যাং স্কুলছাত্রী ও কলেজ ছাত্রীদের নিশানা করত। তাদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হত। শুধু তাই নয়, ছবি তুলে রেখে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে বারবার পাশবিক অত্যাচার করা হত তাদের ওপরে। 

কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, আজমির শরিফের সঙ্গে যোগ থাকা ফারুক চিস্তি ও নাফিস চিস্তি যুক্ত ছিলেন ওই ঘটনার সঙ্গে। সেসময়ও বিষয়টা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল আজমির।

মাওলানা মুফতি শাহাবুদ্দিন বলেন, খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির আজমির শরীফের দরগাহ হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রতীক। দরগাহ থেকে দশকের পর দশক ধরে শান্তি এবং ঐক্যের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ‘আজমির-৯২’র মতো ছবি সমাজে এই একতার ছবিকে নষ্ট করে দিতে চাইছে বলে দাবি মাওলানার। ঘৃণা ছড়ানোর জন্য সিনেমা এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল বানানো হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। কোনো ছবির পরিচালকেরই অধিকার নেই খাজা মইনুদ্দিন চিস্তি দরগাহকে অসম্মান করার, সাফ বক্তব্য তার।


বিজ্ঞাপন


ছবির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন জামিয়াতুল উলমা-ই-হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি নিয়াজ আহমেদ ফারুকি। পরপর ছবির নাম মুসলিমদের প্রসঙ্গ টেনে রাখা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, এভাবে দুই ধর্মের মধ্যে দেওয়াল তুলে ভ্রাতৃত্ববোধকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর