যৌথ জীবনের ৫০তম বসন্তে এসে দাঁড়িয়েছেন বলিউড মহাতরকা অমিতাভ বচ্চন ও তার সহধর্মিণী জয়া বচ্চন। দিনটি জমিয়ে উদযাপন করছেন বিগ-বি। অনুরাগীরাও মুহুর্মুহু শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন এ দম্পতিকে।
এদিকে পঞ্চাশতম বিবাহবার্ষিকীতে অমিতাভ-জয়া সম্পর্কে এসে জানা গেল নতুন এক তথ্য। অমিতাভকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে পেয়েছিলেন জয়া। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অমিতাভের দেহে স্পন্দন নেই। তবে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ শুনেও স্থির ও শান্ত ছিলেন জয়া। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞাপন
যৌবনে ঝুঁকিবহুল দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় স্টান্ট -এর সাহায্য নেননি অমিতাভ। তাই মৃত্যু কাছে চলে এসেছিল। ১৯৮২ সালের ২ অগস্ট ‘কুলি’ ছবির সেটে অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে ভীষণ আঘাত পান অভিনেতা।
প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, পেটের ভিতরের সব তন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁচার আশা ছিল না অমিতাভের। কোমায় চলে গিয়েছিলেন অভিনেতা। কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু ছিল ভেন্টিলেটরে। ‘মৃত’বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা জয়াকে জানিয়েছিলেন, তার প্রার্থনাই সম্বল সেই কঠিন সময়ে। জয়ার অবশ্য মন থেকে বিশ্বাস ছিল, এমন কিছু হতেই পারে না। তিনি শান্ত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ‘আমি পড়তে পারছিলাম না। চিকিৎসকেরা কী করছেন, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। শুধু বুঝেছিলাম, ওরা অমিতাভের হার্টে পাম্প করছে, ওকে ইঞ্জেকশন দিচ্ছে। ধীরে ধীরে দেখলাম ওর পায়ের পাতা নড়ছে। আমি চিৎকার করে উঠেছিলাম, ‘ওই তো! ও সাড়া দিচ্ছে’ বলে। আস্তে আস্তে ও সুস্থ হয়ে উঠেছিল।’