একমাস আগে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র প্রথম গান ‘নাসেক নাসেক’ প্রকাশ হয়েছিল। গানটি লেখার পাশাপাশি সুরও করেছিলেন অনিমেষ রায়। একই গানে ফিউশন হিসেবে ব্যবহার করা হয় ‘দোল দোল দুলনি’ গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন পান্থ কানাই ও অনিমেষ রায়।
ইউটিউবে ও ফেসবুকে গানটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সকলের মন জয় করে নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় শ্রোতারা অপেক্ষায় ছিলেন ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় গানের। প্রত্যাশা ছিল, প্রথম গানের মতোই মন জয় করে নেবে পরের গানটি। কিন্তু দিন যায়, সপ্তাহ যায়; শ্রোতদের সে অপেক্ষার প্রহর যেন আর ফুরায় না। এরইমধ্যে একদিন ‘কোক স্টুডিও’র ফেসবুক পেজে দ্বিতীয় গানের একটি ট্রেইলার প্রকাশ করে কোক স্টুডিও কর্তৃপক্ষ। তাতে কিছুটা শান্ত হয় দর্শক-শ্রোতারা।
বিজ্ঞাপন
কয়েক সেকেন্ডের সেই ট্রেইলারটি অপেক্ষারত শ্রোতাদের বেদনা সম্পূর্ণরূপে প্রশমিত করতে না পারলেও তাদের পুনরায় অপেক্ষার প্রহর গুনতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু আবারও ‘কোক স্টুডিও বাংলা’ নিরাশ করে শ্রোতাদের। শেষমেশ শ্রোতাদের এই অপেক্ষা রূপ নেয় বিরক্তিতে। আর তারই প্রকাশ ঘটেছে শুক্রবার (১ এপ্রিল), যখন দ্বিতীয় গানটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়।
এবারের এই ফিউশনটি সাজানো হয়েছে কবিয়াল রমেশ শীলের ‘বাবা মওলানা’ এবং গিরিন চক্রবর্তীর বিখ্যাত ‘প্রার্থনা’ সংগীত ‘আল্লাহ মেঘ দে’ গান দু’টি দিয়ে। ফিউশনটির নাম রাখা হয়েছে ‘প্রার্থনা’। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ ও মিজান। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন সায়ান চৌধুরী অর্ণব।
তবে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা শ্রোতাদের সেই বেদনার ক্ষত সারিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে গানটি। মন ভরেনি শ্রোতাদের। আর তাদের এই অসন্তোষ ফুটে উঠেছে ইউটিউব ও ফেসবুকে জানানো মতামতের মাধ্যমে। সেখানে মন্তব্যের ঘরে গিয়ে কেউ কেউ জানিয়ে এসেছেন, গানটি তাদের ভালো লাগেনি। কেউ কেউ আবার মমতাজ ও মিজানের মধ্যে গানটি কে বেশি ভালো গেয়েছেন— সে বিচারও করে এসেছেন।
তবে এই দুই শ্রেণির তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছেন দ্বিতীয় গানের অপেক্ষায় প্রহর গুনে বিরক্ত হওয়া শ্রোতারা। যে গানটির জন্য তারা এতদিন অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিলেন, সেই গানটি প্রকাশ হলেও তাদের সে আক্ষেপ যেন শেষ হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
আরআর / আরএসও

