একটা ‘থাপ্পড়’ যে হলিউড দুনিয়ায় যুদ্ধের মতো আবহ সৃষ্টি করবে, সেটা হয়ত কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। গেল রোববার ৯৪তম অস্কার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্টার প্রতিবাদে উপস্থাপক কমেডিয়ান ক্রিস রকের গালে কষে চড় মারেন উইল স্মিথ।
এই ঘটনার পর কেউ ক্রিসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আবার কেউ উইলের প্রশংসা করেছেন। যদিও ওসব আলোচনা-সমালোচনায় কান না দিয়ে, প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন উইল।
বিজ্ঞাপন
এবার সেই ঘটনার জেরে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স থেকে পদত্যাগ করেছেন উইল। বিবিসির খবর বলছে, তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বসের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানিয়েছে, পদত্যাগ করলেও উইল স্মিথকে তার প্রাপ্ত পুরস্কার ফেরত দিতে হবে না। তিনি ভবিষ্যতে পুরস্কারের জন্য মনোয়ন পাবেন, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও পেতে পারেন। তবে তার ওই আচরণের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যে কার্যক্রম শুরু করেছে একাডেমি, তা চলবে।
এর আগে অস্কার মঞ্চে স্ত্রীকে নিয়ে অশোভন আচরণ করায় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্রিস রকের গালে চড় মারেন উইল স্মিথ। অনুষ্ঠান জমিয়ে রাখতে অতিথিদের নিয়ে ঠাট্টা করছিলেন ক্রিস রক। একে একে সকলের কথা বলতে বলতে উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা স্মিথের প্রসঙ্গে তোলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, “পরবর্তী ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করবেন জাডা।”
বিজ্ঞাপন
এই রসিকতায় তীব্র রেগে যান উইল স্মিথ। মঞ্চে উঠে তিনি চড় মারেন ক্রিস রককে। যদিও অনেকে প্রথমে ভেবেছিলেন, সাজানো ঘটনা। কিন্তু পরে দেখা যায়, এই ঘটনায় উইল সত্যিই রেগে গিয়েছেন। এবং তিনি গালিগালাজ করে জানান, তার স্ত্রীকে এসব থেকে দূরে রাখতে চান।
উইলের এই রাগের পেছনে অবশ্য কারণ আছে। ‘জি আই জেন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ডেমি মুর। সেই ছবিতে তার মাথায় চুল ছিল না। ঘটনাচক্রে জাডার মাথাতেও চুল নেই। কিন্তু সেটি স্টাইলের কারণে নয়। তিনি অ্যালোপেশিয়ায় আক্রান্ত। সেই কারণেই তার চুল নেই।
ঘটনার এক ঘণ্টা পরেই ‘কিং রিচার্ড’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জয় করেন উইল স্মিথ। ওই চলচ্চিত্রে তিনি টেনিস তারকা ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামসের পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন।
আরএসও