কয়েকদিন আগে যখন রহমত উল্ল্যাহ নামে এক প্রযোজক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন, তখন চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান ফেসবুকে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি ইসলামি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। কিং খানের অনুরাগীরা তার ওই লেখা সহজভাবে নেননি। তারা ধরে নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রিয় নায়ককে ইঙ্গিত করে ওই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এরপর রীতিমতো তোপের মুখে পড়েন এই নায়ক।
এরপর যদিও শাকিবের পক্ষে একটি স্ট্যাটাস নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন রোশান। কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামেনি। তাই এবার সেই স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রোশান লেখেন, ‘শাকিব খান ভাইকে অনেক সম্মান করি, কারণ তিনি আমাদের সুপারস্টার। কিন্তু সেটা এজন্য নয় যে ওনার ভক্তরা আমাকে সাপোর্ট করবেন, আমার সিনেমা দেখবেন। শাকিব ভাইয়ের ভক্তদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সবসময় ছিল এবং আছে। আপনারা দেখিয়েছেন আপনারা তাকে কতো ভালবাসেন! এটাই একজন অভিনেতার সার্থকতা। আমি জানি শাকিব ভাইয়ের ম্যাক্সিমাম ভক্ত আমাকে অনেক ভালোবাসা এবং সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন, যার জন্য আমি সত্যি অনেক কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘একটি পোস্ট নিয়ে আপনারা অনেকে কষ্ট পেয়েছেন। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, সেই পোস্টটি শাকিব ভাইকে কেন্দ্র করে নয়। প্রশ্নই আসে না। তিনি আমার অনেক সিনিয়র। আমি সকল সিনিয়রদের মন থেকে রেসপেক্ট করি এবং করব।’
ওই স্ট্যাটাসের কারণ জানিয়ে রোশান লিখেছেন, ‘তাহলে কাকে কেন্দ্র করে এই পোস্ট? আমার ইচ্ছাকে কেন্দ্র করে! ভাই আমি নামাজ পড়ি। রোজা রাখি। মুসলিম হিসেবে আমার জন্য যা ফরজ সবই পালন করার চেষ্টা করি এবং ইনশাআল্লাহ করে যাব। এই সিনেমা আমার প্রফেশন। কিন্তু দিন শেষে ভাই আমিতো একজন মুসলিম। ভাই একটা ইসলামিক পোস্ট দেয়াটা একজন মুসলিম হয়ে আমার কাছে একটা কমন ব্যাপার মনে হয়েছে তাই দিয়েছি। কেন কাউকে উদ্দেশ্য করেই দিতে হবে! আমার যখন যেটা ভাল লাগে সেটাই আমি করি। আর হ্যাঁ, আমি তেলবাজি করি না। আমার ব্লাডে সেটা নাই। কারণ, সেটা করে যা পাওয়া যায় সেটা আমার কখনও দরকারই হয় না। আপনি যা কিছু অর্জন করবেন, আপনি তখনই শান্তি পাবেন যখন সেটা আপনার যোগ্যতা দিয়ে পাবেন।’
এদিকে রোশানের এই কারণ দর্শানো মনে ধরেছে শাকিব খানের অনুরাগীদের। তাই এটি তাদের ভালোবাসার নায়কের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করছেন। সেই সঙ্গে রোশানের ওপর সবর রাগ কমে গেছে বলেও জানান তারা। সুতরাং বলা যায়, রোশান যেন এবার হাফ ছেড়ে বাঁচলেন!