বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এটা আমার স্বপ্নের একটা চরিত্র: সিফাত

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

এটা আমার স্বপ্নের একটা চরিত্র: সিফাত
কিছুদিন আগে খবর এসেছিল নির্মাতা রাশেদ রাহা ‘কলকাতা ডায়েরিজ’ নামে একটি ওয়েব সিনেমা বানাচ্ছেন। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ছবিটির দৃশ্যধারণের কাজ। এতে টলিউডের শ্রীলেখা মিত্র ও দর্শনা বণিকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের সিফাত আমিন। নাটক দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখানো এই অভিনেতার এটিই প্রথম ওয়েব সিনেমা। এটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে। কথোপকথনে উঠে এসেছে ওয়েব সিনেমাটিতে তার যুক্ত হওয়া ও কাজের অভিজ্ঞতা বিষয়ে নানা তথ্য।

‘কলকাতা ডায়েরিজ’-এর সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?

রাশেদ রাহা ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় বেশ কয়েক বছর। আস্তে আস্তে ভালো একটা আন্তরিকতা হয় আমাদের মাঝে। বলতে পারেন প্রেম হয়ে যায়! আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আর তিনি আড্ডা দিতে মিরপুরে আমার এলাকায় আসতেন। আমার জীবনযাপন চালচলন সব খেয়াল করতেন তিনি। সেসময় তিনি আমাকে জানান, এই ওয়েব ফিল্মের কথা। এমনকি আমার মায়ের হাতে সাইনিং মানিও দিয়ে যান।

যখন শুনলেন শ্রীলেখা মিত্র ও দর্শনা বণিকের সঙ্গে হতে যাচ্ছে কাজটি, তখন আপনার প্রতিক্রিয়াটা কী ছিল?

এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে রাহা ভাইয়ের প্রতি আমার একটা আস্থা ও ভরসা ছিল। আমি জানতাম তিনি আমাকে কোথাও নিলে সেটা ভালো জায়গায় নেবেন। খারাপ জায়গায় ফেলবেন না। 

rashed raha


বিজ্ঞাপন


আপনি তো একেবারেই নতুন। টলিউড তারকাদের সঙ্গে কাজ করতে ভয় কিংবা জড়তা কাজ করেনি?

না, একেবারেই কাজ করেনি। অবশ্য একটা কারণও আছে। এর আগে একটা প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলতে অঞ্জন দত্তের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা গিয়েছিলাম। সেসময় আমার ভেতর ভয় কাজ করছিল। অঞ্জনের মতো কিংবদন্তি এক ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হওয়ার ভয়। তা ছাড়া আমি ছোট থেকেই তার ভক্ত। তার সঙ্গে দেখা করার পর আমার সব জড়তা কেটে যায়। আর কারও সঙ্গে দেখা করতেই ভয় ছিল না। সে কারণে টলিউডের তারকাদের সঙ্গে কাজ করতে আমার মাঝে ভয় বা জড়তা মোটেই কাজ করেনি। 

বাংলাদেশ থেকে যাওয়া নতুন একটি ছেলেকে কীভাবে গ্রহণ করেছিলেন শ্রীলেখা-দর্শনা?

ওখানে গিয়ে আমাকে ক্যামেরা সামনে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সেটা হলো শুরুতেই আমার শট ছিল। এ জন্য আমার পরিচালককে ধন্যবাদ। তিনি বোধহয় আমাকে যোগ্য মনে করেছিলেন। আমি ওই শট দিয়ে সবাইকে বুঝিয়েছিলাম বা সবাই বুঝে গিয়েছিল যে আমি অভিনয়টা পারি। এরপর থেকে একজন আর্টিস্ট হিসেবে যতটা মূল্যায়ন করা প্রয়োজন ততটুকুই করেছেন দর্শনাসহ অন্যরা। তবে শ্রীলেখার সাথে আমার খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে যায়। কারণ তার জীবন দর্শনের সঙ্গে আমার দর্শন, চিন্তাধারা মিলে গিয়েছিল। তিনিও বাবাকে মিস করেন, আমিও বাবাকে মিস করি। এই ব্যাপারগুলো কাজ ও কাজের বাইরে তার সঙ্গে আমার বেশ হৃদ্যতা তৈরি করে দেয়। আমাদের মধ্যে একটি মানসিক সম্পর্ক তৈরি হয় বলতে পারেন। 

sifat amin

এই ওয়েব সিনেমায় আপনার চরিত্রটা সম্পর্কে বলুন।

আমার অভিনীত চরিত্রের নাম পিকে। এটা কয়েকটা রোল প্লে করে। এই চরিত্র করতে গিয়ে আমাকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করতে হয়েছে। মূকাভিনয় করতে হয়েছে। রোমান্টিক হতে হয়েছে। আবার সিরিয়াস অভিনয় করতে হয়েছে। এটা আমার স্বপ্নের একটা চরিত্র। 

কলকাতায় আর কোনো কাজের ব্যাপারে কথা হয়েছে?

হ্যাঁ। আমার সঙ্গে কয়েকজন প্রযোজকের সাথে কথা হয়েছে। ওখানকার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই এসেছিলেন আমাদের সেটে। কারণ, আমার সাবলীল আচরণ, জড়তাহীনতায় আলোড়ন তৈরি হয়েছিল সেখানে। সেসময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া সাউথের সিনেমার ব্যাপারে কথা হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত কিছু না। তবে কথা চলছে। 

sifat amin

বর্তমানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আপাতত নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছি। দশ দিন পর ওয়েব সিনেমাটির ডাবিংয়ের জন্য কলকাতা যেতে হবে। এ ছাড়া রাহা ভাইয়ের একটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা রয়েছে আমার।

আরআর/আরএসও

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর