ধারণা করা যাচ্ছিল, আরআরআর সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। লাইন ধরবে সিনেমা হলের সামনে। এমনকি আকাশ ছুঁয়ে যেতে পারে টিকিটের দাম। বাস্তবে সেটাই হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিশ্বের প্রায় আট হাজার সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে এসএস রাজমৌলি পরিচালিত সিনেমাটি। এরমধ্যে ভারতের বাইরে এক হাজার ৭৫০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে এটি। ভারতের দক্ষিণে তিন হাজার এবং হিন্দি সংস্করণে তিন হাজার ২০০ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম বলছে, ভারতের দর্শকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকিট পাচ্ছেন না। আর টিকিট পেলেও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। দিল্লির বেশকিছু সিনেমা হলে দুই হাজার ১০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে টিকিট, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় দুই হাজার ৩৮০ টাকা। জানা গেছে, করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশি টাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে মুক্তির প্রথম দিনে আরআরআর প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে। বলিউড ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ টুইটারে ছবিটির রিভিউ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ছবিকে দুর্দান্ত বলেছেন।
সিনেমাটি নিয়ে দর্শক আগ্রহের পেছনে দুটি কারণ আছে। প্রথমত, বাহুবলির মতো দুটি ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দেওয়ার পর আবার নতুন ছবি আনছেন এস এস রাজমৌলি। দ্বিতীয়ত, এই ছবিতে দক্ষিণী ও বলিউড তারকাদের মেলবন্ধন ঘটেছে। একদিকে যেমন আছেন দক্ষিণের সিনেমা জগতের দুই মহারথী রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর, অন্যদিকে রয়েছেন বলিউডের আলিয়া ভাট ও অজয় দেবগণ।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই সিনেমায় দুই তেলেগু মু্ক্তিযোদ্ধা কমারাস ভীম ও আলুরি সীতারাম রাজুর জীবনকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তির আগে আরআরআর ৮০০ কোটি রুপি আয় করেছে। এরমধ্যে সিনেমা স্বত্ব বিক্রিসহ গানের আয়ও রয়েছে। সিনেমাটির মোট বাজেট ৪০০ কোটি রুপি বলে শোনা যায়। উত্তর ভারতীয় স্বত্ব থেকে এটি পেয়েছে ১৩৫ কোটি রুপি।
আরএসও