স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দীপক স্লোগান ‘জয় বাংলা’ এখন জাতীয় স্লোগান। স্বাধীনতার মাসে স্লোগানটির এমন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি উদযাপন করতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জয় বাংলা উৎসব। সম্প্রতি এ উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার উৎসবটি আয়োজন করা হয়েছে দোহারে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দোহারের জয়পাড়া বড় মাঠে আয়োজিত এ উৎসবে ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন

উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালমান এফ রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধিদফতরের সাবেক প্রধান চিত্রগ্রাহক, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের সংরক্ষণকারী, একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আমজাদ আলী।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সংরক্ষণকারী দোহারের কৃতি সন্তান আমজাদ আলীকে। সালমান এফ রহমান তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
প্রতিক্রিয়ায় আমজাদ আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমি রেকর্ড করি এবং জীবনবাজি রেখে তা সংরক্ষণ করে এই দোহারের মজিদ দারোগার বাড়িতে সংরক্ষণ করি। ওই দিন যদি আমরা ভাষণটি সংরক্ষণ না করতাম তাহলে নতুন প্রজন্ম কিছুই বুঝতে পারত না বঙ্গবন্ধু কী বলেছিলেন, কী করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন কিছু বাকি রাখেননি বলার, যা যা বলা দরকার সবই বলে গেছেন। এমন একটি বড় আয়োজনে আমাকে সম্মানিত করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন

সালমান এফ রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলার গুরুত্ব সম্পর্কে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমি কথা দিয়েছিলাম দোহার-নবাবগঞ্জকে বাংলাদেশের মডেল উপজেলায় পরিণত করব। সেদিকেই আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে তার কারণ দেশটা স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে তিনি যখন ঠিক করছিলেন তখন তাকে আমরা হারালাম।’
সালমান এফ রহমানের বক্তব্যের পর তাকে ফুলের শুভেচ্ছা ও নানা স্মারক উপহারে সংবর্ধিত করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগ ও দোহার উপজেলার নানা স্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে বর্ণিল করতে নানা আয়োজনের পাশাপাশি এতে নৃত্য পরিবেশন করেন পূর্ণিমা, ফেরদৌস, নিরব, তমা মির্জা। সংগীত পরিবেশন করেন তাপস এন্ড ফ্রেন্ডস, ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ ও নগর বাউল জেমস। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে গানবাংলা টেলিভিশন।
আরএসও

