এর আগে ঢালিউডের অনেকে টলিউডে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু জয়ার মতো এতটা সফল কেউ হননি। কলকাতার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছেন তিনি। এমনকি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে খালি হাতে ফেরেন না দুই বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এই তো কিছুদিন আগে তৃতীয়বারের মতো ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড বাংলা ঘরে তুললেন।
জয়ার এই জয়যাত্রা যেন বলিউড অবধি গিয়ে পৌঁছায়— এমনটাই প্রত্যাশা অনুরাগীদের। তবে গুঞ্জন চাউর হয়েছিল, তিনি বলিউডে অভিনয় করতে চান না। তবে এটা একদম সত্য নয় বলে জানালেন জয়া।
বিজ্ঞাপন
ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলা সংস্করণে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বলেন, ‘কথাটি মোটেও সত্য নয়। বিশেষ কোনো চলচ্চিত্রের প্রতি রাগ-বিরাগ নেই। কেন অভিনয় করব না? যদি আমার করার মতো চরিত্র হয়, তাহলে অবশ্যই করব। এমন কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি। জানি না, কেন এমন কথা ছড়াল। আমি চরিত্র নিয়ে কাজ করতে চাই।’
এদিকে অভিনয়ের মাধ্যমে কলকাতার মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারাটা বড় প্রাপ্তি মনে করেন জয়া। তার ভাষায়, ‘এটা অনেক বড় প্রাপ্তির ও আনন্দের। ভাবতে অবশ্যই ভালো লাগে। অভিনয় মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর বড় একটি মাধ্যম। কাজ করে যাচ্ছি, আরও ভালো কাজ করে যেতে চাই।’
ঢাকার চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে জয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অনেক এগিয়ে গেছে। দিন দিন চলচ্চিত্রের উন্নতি ঘটছে। বাংলাদেশে এখন অনেক তরুণ নির্মাতা। তারা চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছেন। হ্যাঁ, মূলধারার চলচ্চিত্র পিছিয়ে পড়ছে। কিন্তু ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মের বাজার অনেক প্রসারিত হয়েছে। কলকাতাতেও একই অবস্থা। এখানেও ইনডিপেনডেন্ট ফিল্মের বাজার অনেক বিস্তৃত। আমার মতে বাংলাদেশের ফিল্ম অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চিন্তিত জয়া। যদিও আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। তার মতে, বড় পর্দায় সিনেমা দেখার তৃষ্ণা থাকে সবসময়।
জয়া বলেন, ‘দিন দিন অনেক সিনেমা হলই কমে যাচ্ছে। আমরা যারা বড় পর্দায় অভিনয় করি, এটা আমাদের জন্য অনেক দুঃখের বিষয়। কেননা, আমরা নিজেদের বড় পর্দাতেই দেখতে চাই। তবে প্রযুক্তির যে প্রভাব সেটা তো মেনে নিতেই হবে। সব অনলাইনকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। ওটিটিতে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। তারপরেও বড় পর্দার তৃষ্ণা থেকে যায়। আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সিনেমা হল বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি জানান, দেশে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়ে কথা হয়েছে। কলকাতার সিনেমাগুলোর দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হলেই ঢাকায় উড়াল দেবেন।
আরএসও