মেধাবী নির্মাতা হিসেবে ঢালিউডে সুনাম রয়েছে রায়হান রাফীর। তবে বদনামও কম নেই। এর আগে পরীমণি, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী সায়মা স্মৃতি। রাফীর চেয়ে পকেটমারের কাছেও বসে থাকা ভালো বলে মনে করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
প্রায় সাত মাস আগে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা থেকে রাফীর প্রতি এমন মনোভাব জন্ম নিয়েছে বলে জানান স্মৃতি। সেসময় ‘পরাণ’ মুক্তি পেয়েছে মাত্র। স্মৃতির সঙ্গে দেখা হলে রাফী প্রায়ই তাকে তার অফিসে যেতে বলতেন। একদিন রাফীর ডাকে সাড়া দিয়েই তার অফিসে যাচ্ছিলেন স্মৃতি। কিন্তু পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এ সময় রাফীকে জানালেও তার থেকে কোনো মানবিক আচরণ পাননি বলে জানান এ অভনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘অন দ্য ওয়েতে আমি বাইক এক্সিডেন্ট করি। দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে আমি যেন আমার চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেশ ভালো আঘাত পেয়েছি, চামড়া ছিলে গিয়েছে। গড়গড় করে রক্ত পড়ছিল। আমার হাতে-পায়ে-কোমরে এমনকি আমার মুখেও স্পট পড়ে। মুহূর্তের জন্য আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। এরপর আমি তাকে বিষয়টি জানাই এমনকি আমি কিছু ছবিও পাঠাই তাকে। সে রিপ্লাই দিয়েছে, ‘তুমি এক্সিডেন্ট করেছ, এটা তোমার মাথাব্যাথা। আমি কি তোমাকে বলেছিলাম যে, বাইকে আসো?’
রাফীর এমন আচরণে হতবাক হয়ে যান স্মৃতি। তিনিবলেন, ‘এটা কি একজন নির্মাতার কথা হতে পারে? আমি তাকে ঘটনা জানানোর পর সাথেসাথেই পল্টি মারল। এরকম পল্টি মনে হয় না যে রাস্তার পকেটমাররাও হয়। কারণ, তাদের মধ্যেও মানবিকতা বলতে কিছু আছে কিন্তু এই নির্মাতার? একজন অপরিচিত মানুষও ছুটে যায় কোনো এক্সিডেন্টের কথা শুনলে আর সেখানে সে মুহূর্তেই পল্টি। সে এমনই একজন মানুষ যে কিনা এরপর একদিন খোঁজও নেয়নি আমার যে, আমি কেমন আছি বা কী অবস্থায় আছি! একটা মানুষ তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করল অথচ তার কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। আমি ওই এক্সিডেন্টে মারা যেতে পারতাম, তাতে অবশ্য তার কিছু যায় আসত না, আমার কাছে ঠিক তেমনটাই মনে হয়েছে।’
সবশেষে রাফীকে পকেটমারের চেয়ে নিকৃষ্ট দাবি করে স্মৃতি বলেন, ‘এতটা নিচু মন-মানসিকতার মানুষ আমি আগে কখনও দেখিনি। একজন নির্মাতার বিহেভিয়ার যদি এমন হয় তাহলে তো আর কিছু বলার নেই, এরচেয়ে তো পকেটমারের কাছে বসে থাকাও ভালো। একজন নির্মাতার মানবিক দিক বলেও কিছু থাকা উচিত। ভালো মানুষ হওয়া উচিত।’
রাফীর ওই আচরণে স্মৃতি এতটাই মর্মাহত যে তিনি এ নির্মাতার নামও শুনতে চান না। এমনকি কোটি টাকার বিনিময়েও রাফীর ছবিতে কাজ করতে চান না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
অমিতাভ রেজা চৌধুরী নির্মিত একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন স্মৃতি। এরপর বেশকিছু নাটক ও বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে। বর্তমানে তার ব্যস্ততা চলচ্চিত্র নিয়ে।
আরআর

