বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ফারাজ’ মুক্তিতে আপত্তি নিহত অবিন্তার মায়ের

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ফারাজ’ মুক্তিতে আপত্তি নিহত অবিন্তার মায়ের

ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলার ঘটনা নিয়ে ‘ফারাজ’ নামে একটি ছবি বানিয়েছেন মুম্বাইয়ের হংসল মেহতা। ছবিটি মুক্তি পাবে ৩ ফেব্রুযারি। তার আগেই ছবিটির মুক্তিতে আপত্তি জানালেন ওই হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ।

ছবিটিতে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে ওই ঘটনায় নিহত ফারাজকে। এটি মানতে নারাজ অবিন্তার মা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহজাদপুরে অবিন্তা কবির ফাউন্ডশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


অবিন্তার মা রুবা আহমেদ বলেন, ‘এই মুভিতে আমার মেয়ের জন্য আরেকজন জীবন দিয়ে দিয়েছে, সে হিরো। নো, দ্যাটস রং। আমি এটা বিশ্বাস করি না। কারণ এটার কোনো প্রমাণ নাই। ওখান থেকে কেউ ফিরে আসেনি। যারা বেঁচে এসেছে তারা কেউ কিচ্ছু জানে না,বলতে পারে না। এখানে কোনো ইভিডেন্স নাই যে কেউ হিরো হয়েছে। যদি হিরো হয়ে থাকে তাহলে ২২ টা মানুষ যে চলে গেছে (মারা যাওয়া) তারা হিরো। আমরা কেউ না।’

তিনি বলেন, ‘সো কাউকে এককভাবে হিরো বানানোটা আপনারা যদি আমাকে বলেন, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। ইটস অ্যা রং, রং স্টেইটমেন্ট। এটা হতে পারে না। এই মুভিটা রং, এটা কোনদিনই হতে পারে না।’

সিনেমাটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে। সিনেমাটির নির্মাতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এ ঘটনায় তারা সহমর্মিতাও প্রকাশ করেনি। আইনি নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আমার দেশে যখন এটা আসবে প্লিজ ওটিটিতে এটা প্রকাশ হতে দিয়েন না। দেশের মানুষের দরকার নেই এটা দেখার।’

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবিন্তা ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে অবিন্তা কবিরের পরিবারের আপত্তি আছে। সিনেমাটিতে অবিন্তা কবির ও তার পরিবারের সদস্যদের চরিত্র উপস্থাপন করা হবে। এ নিয়ে অবিন্তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রত।’


বিজ্ঞাপন


নিজের মেয়ের সম্পর্কে রুবা আহমেদ বলেন, ‘আমার মেয়ে সাধারণ জনতা। আমার মেয়ে কোনো পণ্য না। ও কোনো কিচ্ছু না। ও অবিন্তা কবির, আমার মেয়ে। আপনারা কেউ ওকে জানতেন না। আপনারা কী আসলেই অবিন্তা কবিরকে চিনতেন? যদি ও ২০১৬ তে মারা না যেত? চিনতেন না। আপনার ওর (অবিন্তা) নামটা জেনেছেন কারণ, শি পাসড ওয়ে দ্যাট নাইট।’

হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলায় নিহত অবিন্তা যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটির অক্সফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকায় ফেরেন। এর তিন দিন পর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন।

আরআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর