শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে অঞ্জনার ক্ষোভ

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে অঞ্জনার ক্ষোভ

যোগ্যতার মানদণ্ড বিচারে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়ে থাকে সরকার। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এরইমধ্যে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিক দেখে আক্ষেপ হচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনার।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের একটি উল্লেখযোগ্য বিভাগ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। এবার যৌথভাবে পুরস্কারটি পাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ডলি জহুর ও জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু এ তালিকায় ডলি জহুরের নাম দেখে বিস্তর আপত্তি অঞ্জনার। তিনি মনে করেন, চলচ্চিত্রশিল্পীদের মধ্যে আরও বর্ষীয়ান ও যোগ্য শিল্পী আছেন। আজীবন সম্মাননা তাদেরই প্রাপ্য।


বিজ্ঞাপন


এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেইলকে অঞ্জনা বলেন, ‘আমি ডলি আপার অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। তাকে এই সম্মাননা দেওয়ায় আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, দেশে অনেক প্রবীণ, যোগ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আছেন। উদাহরণস্বরূপ চিত্রনায়িকা শবনম আপা, নূতন, সুচরিতা, চিত্রনায়ক উজ্বল ভাই, চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদ ভাইয়ের কথা বলা যায়। এই সম্মাননা কি তাদের প্রাপ্য না? ডলি আপার তারা সিনয়র এবং তাদের অবদানও বেশি। ডলি আপা তো নটক হয়ে সিনেমায় এসেছেন।’

এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন প্রসঙ্গে এ নায়িকা বলেন, ‘জাভেদ ভাই তো ইলিয়াস কাঞ্চনের অনেক সিনিয়র। বলা যায় জাভেদ ভাই জন্ম দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চনকে। লোকটা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি কি এই পুরস্কার পেতে পারতেন না?’

এ বছর যারা আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তাদের প্রতি কোনো ক্ষোভ ও ঈর্ষা নেই অঞ্জনার। এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সম্মাননা নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। কারও প্রতি কোনো ঈর্ষাও নেই। আমি শুধু চাই যাদের প্রাপ্য তাদের ঝুলিতেই সম্মাননা পৌঁছাক। এটা যখন হয় না তখনই কষ্টটা লাগে, আফসোস হয়।’

অঞ্জনা মনে করেন চলচ্চিত্র পুরষ্কারের তালিকা তৈরির আগে জুরি বোর্ডের সদস্যদের এদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস ভালো করে জানা উচিত। তবেই এই বৈষম্য ঘুচবে বলে মনে করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


আজ শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অঞ্জনা। নিজের ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ এর কয়েকটা ক্যাটাগরিতে সত্যিকার অর্থে দুখঃজনক লেগেছে। কিছুই বলার নেই। ডলি জহুর আপাকে কেন আজীবন সম্মাননা দেয়া হবে এটা আমার বোধগম্য না।’

এরপর তিনি লেখেন, ‘নিঃসন্দেহে তিনি ভালো অভিনেত্রী। কিন্তু ওনার চেয়ে স্বনামধন্য, দাপুটে অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা শবনম, চিত্রনায়ক উজ্বল ভাই, নূতন, সুচরিতা, চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদ ভাই। যারা স্বাধীনতার আগে থেকে এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্পে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদের না দিয়ে কেন ডলি আপাকে দিল এটা আসলেই হাস্যকর।’

অঞ্জনা আরও লিখেছেন, ‘ডলি আপা মূলত টেলিভিশন নাট্যশিল্পী। চলচ্চিত্রে তিনি এসেছেন ৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়। কিন্তু এর অনেক আগেই। শবনম আপা, উজ্বল ভাই,জাভেদ ভাই, সুচরিতা ও নূতন চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত। জুড়ি বোর্ডে এবার যারা ছিলেন তারা বাংলা চলচ্চিত্রের সঠিক ইতিহাস ভুলে গেছেন কি না আমি জানি না।’

আরআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর