অহনার সঙ্গে প্রেমের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি শামীম

নাটক-সিনেমায় জুটি বেঁধে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই বাস্তব জীবনে জুটি বেঁধেছেন। সংখ্যাটা কম নয়। গুঞ্জন উঠেছে, শামীম হাসান সরকার ও অহনা রহমান নাকি সে পথেই হাঁটছেন। চুটিয়ে প্রেম করে বেড়াচ্ছেন তারা।

শামীম-অহনাকে নিয়ে এ গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে তাদের পোস্ট কেন্দ্র করে। কয়েকদিন আগে অহনা ফেসবুকে শাড়ি পরে তোলা দুটি ছবি প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে জানান, শাড়িটি তাকে উপহার দিয়েছেন শামীম।

এর পরের দিন নেট দুনিয়ায় অহনার সঙ্গে নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেন শামীম। তার ফেসবুকের কভার ফটোতে স্থান পায় সে ছবি। এরপর থেকেই নেটিজেনরা ধরে নিয়েছেন পর্দার আড়ালেও প্রেম করে বেড়াচ্ছেন শামীম-অহনা। রোমান্টিক গিফট আদান প্রদান, একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি ছবির বিশেষ মর্যাদা— সেসবেরই ইঙ্গিত।

এদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টিকে গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অহনা। তিনি বলেন, ‘রহস্যের কিছু নেই। আমরা কোনো সম্পর্কের মধ্যে নেই। আমরা খুব ভালো বন্ধু। তাছাড়া অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমাদের বোঝাপড়া দারুণ। অভিনয় করতে গেলে তো আসলে সহশিল্পীদের কাউন্টার দিতে হয় আমাদের। তো যখন একজন ভালো অভিনয়শিল্পী পাশে থাকে, তখন নিজের স্পিডও বেড়ে যায়। এ কারণে আমিও কাজগুলো উপভোগ করছি।‘

অন্যদিকে প্রেমের বিষয়টিকে গুঞ্জন বললেও অহনাকে কাছের মানুষ বললেন শামীম। তিনি বলেন, “পেশাগত জায়গা থেকে আমাদের জুটি দর্শকরা পছন্দ করছেন, আমরাও উপভোগ করছি। এটা ‘শ্বশুরবাড়ি নোয়াখালী ২‘ নাটকের ছবি। আমি ক্যাপশনে কিছু বলিনি বা হার্ট ইমোজি দেইনি। তবে হ্যাঁ, একটা মানুষ কভার ছবিতে তখনই স্থান পায়, যখন সে ক্লোজেস্ট হয়। অহনা সত্যিই আমার ক্লোজেস্ট ওয়ান। যাকে মনের কথা বলা যায়। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালো বুঝি।”

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাছের মানুষেরা একসময় মনের মানুষে পরিণত হয়। বর্তমানে হৃদয়ঘটিত কিছু না থাকলেও সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি শামীম। তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনার কথা তো বলা যায় না। এটা তো জীবন। এভাবে আসলে ভেবে দেখিনি এখনও। আমাদের পরিবারও এই বন্ধুত্বকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে। দুজন দুজনের বাসায় গেছি। শুটিং থেকে ঘোরাফেরা, পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এই বন্ডিংটা হয়েছে। যদি প্রেম হতো, তাহলে বাবা-মাকেও জানাতাম।‘