আরিফিন শুভকে নিয়ে অনুরাগীদের প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে তিনি অনেকটাই ব্যর্থ। এই যেমন, গেল বছর ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল অ্যাকশনধর্মী ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমা। দর্শকের নজর কাড়তে প্রচারণার কমতি রাখেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যদিও কাজ হয়নি তাতে।
সিনেমাটি দুই ভাগে নির্মিতি হয়েছিল। প্রথম পর্ব ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছিল। এর দ্বিতীয় পর্ব ‘ব্ল্যাক ওয়ার’। নতুন বছরের ৬ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এটি। হাতে খুব একটা সময় নেই। তাই সিনেমাটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ তৈরিতে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টিজার প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এক মিনিট তিন সেকেন্ডের টিজারটি দেখে উচ্ছ্বসিত শুভর অনুরাগীরা। সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে করছেন প্রশংসা। তারা আশা করছেন, ‘মিশন এক্সট্রিম’র হতাশা দূর করবে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’। ইউটিউব-ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে এমনটাই জানাচ্ছেন তারা।
সাজু নামে একজন লিখেছেন, “সত্যি বলতে দারুণ লেগেছে। কিন্তু ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেখে একটু শঙ্কা থেকেই যায়! পুরো গল্প যেন আগেরটার মতো ধীরগতির না হয়। আশা করব, টিজারের শেষে যেমন শুভ ভাইয়ের মাসালা অ্যাকশন নজর কেড়েছে, পুরো মুভি জুড়েই সেই থ্রিলটা থাকবে।”
আরেকজন লিখেছেন, “আরিফিন শুভকে ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেখে মন ভরেনি আমার। যে শুভকে দেখার প্রত্যাশা নিয়ে হলে গিয়েছিলাম, পর্দায় সেই শুভ ছিলেন না। দেখানো হয়নি তার ধুন্দুমার অ্যাকশন। ছবিটির জন্য আয়োজন করে শুভ যে শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন তার কিছুই পাইনি। তবে ‘মিশন এক্সট্রিম’র দ্বিতীয় পর্ব ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ এই প্রত্যাশিত শুভকে দেখে আমার খুব ভালো লাগল। তাই দেখতে পেলাম টিজারে।”
পুলিশ অ্যাকশন ঘরানার এই ছবি পরিচালনা করেছেন সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ। কপ ক্রিয়েশনের ব্যানারে প্রযোজিত সিনেমাটির গল্পও লিখেছেন পুলিশ কর্মকর্তা সানী সানোয়ার। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাদিয়া নাবিলা, মিশা সওদাগর, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, মাজনুন মিজান প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশেও ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ মুক্তি পাবে। এ পর্যন্ত ১৫টি দেশ চূড়ান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরএসও
