চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আদালত চূড়ান্ত রায় দেননি। জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপাতত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন নিপুণ।
জায়েদ খান বলেন, ‘আদালত চূড়ান্ত রায় দেননি। নিপুণ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তা গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে ভুল ব্যাখা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আমার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। আশা করি, পরিশেষে সত্যের জয় হবে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন। এখন শুনানি হবে। আমি শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি শুনানিতে রায় আমার পক্ষে আসবে কারণ আমি ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।’
এদিকে নিপুণ বলেন, ‘এই জয় শিল্পী সমিতির প্রতিটি সদস্যের। যারা ন্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। শিল্পীদের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি এগিয়ে যেতে যাই। আমাদের সমিতির জন্য কাজ করতে চাই।’
সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অন্যদিকে নিপুণের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলাফলে সভাপতি পদে জয়ী হন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। তখন জায়েদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনেন নিপুণ।
বিজ্ঞাপন
/আরএসও