শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৮:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পরিচালক মিসবাউর রহমান সুমনের নামে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্যপ্রাণী শালিক পাখি খাঁচায় আটক দেখানো ও তাকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য থাকায় বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা। মামলায় তদন্ত কমিটিতে কাজ করা তিন সদস্য আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে সাক্ষী করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বন বিভাগ ও আদালতের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

গত মাসের ২৯ তারিখে মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। এমন দৃশ্য এ ধরনের প্রাণী শিকারে উৎসাহিত করতে পারে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন।

চলচ্চিত্রের ওই দৃশ্যটি সংশোধন করে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তারা পরিচালক ও অভিনয় শিল্পীর প্রতি আহ্বান জানায়। তবে ছবিটির পরিচালক বলছেন, ‘ফিকশন’ হিসেবে ওই দৃশ্য দেখানো হলেও কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়নি।


বিজ্ঞাপন


পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর একটি জোট, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট দাবি করছে, চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এর ফলে বন্যপ্রাণীর জন্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করে। এমন অবস্থার মধ্যে সিনেমাটির বিরুদ্ধে মামলা করে বন বিভাগ। 

বাংলাদেশে বন্য প্রাণী আটকে রাখা, হত্যা করার মতো অপরাধ দমনে সোচ্চার রয়েছে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

এর আগে একটি টিভি নাটকে খাঁচাবন্দি টিয়া দেখানোর দৃশ্য থাকায় নাটকের পরিচালকের বিরুদ্ধে গত এপ্রিল ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে এই ইউনিট, যেটি এখনও বিচারাধীন।

টিএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর