কোরবানির ঈদের আমেজ ফুরিয়ে গেলেও ফুরোয়নি ‘পরাণে’র আবেদন। মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহে এসেও সুবাস ছড়াচ্ছে সদ্য ফোটা ফুলের মতো। এই ছবির মুখ্য চরিত্রগুলোর একটিতে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। সুনিপুণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে তার অভিনীত ‘অনন্যা’ চরিত্রটিকে করে তুলেছেন সিনেমাটির প্রাণভোমরা। ফলস্বরূপ, হচ্ছেন প্রশংসিত। ‘পরাণে’র এবং নিজের এমন সাফল্যে অভিভূত তিনি।
মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহে এসেও ‘পরাণে’র অভাবনীয় সাফল্যে কেমন লাগছে— জানতে চাইলে মিম বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এক মাস পরও আমাদের সিনেমাটি হাউসফুল যাচ্ছে। এমনকি আজ যেখানে যেখানে সন্ধ্যার শো আছে তার সবগুলোর টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দর্শকদের এই তুমুল আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে মাত্রই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
‘পরাণে’র হাত ধরে চলচ্চিত্রাঙ্গনে সুদিন ফেরার আভাস মিলেছে। এর কৃতিত্ব অনেকেই ছবিটির নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পীদের দিচ্ছেন। নিজেকে বাংলা সিনেমার দিন বদলের সারথিদের একজন ভাবতেই অন্যরকম একটি অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে মিম বলেন, ‘নিজেকে ইতিহাসের একটি অংশ মনে হচ্ছে। এই আনন্দটা আসলে অন্যরকম। ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে। এটা আমার জন্য বড় একটি পাওয়া।’
মিম বিয়ে পিঁড়িতে বসেছেন বেশিদিন হয়নি। এরপরই ক্যারিয়ারর সবচেয়ে সোনালী সময় ধরা দিয়েছে তার হাতে। তবে কি তার স্বামী ভাগ্য ভালো— জানতে চাইলে বলেন, ‘অবশ্যই। বিয়ের পর আমার জীবনটা বদলে গেছে। সবকিছুতেই সফলতা পেয়েছি। আমার গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হলো, সিনেমা ব্লক বাস্টার হিট হলো। এর আগে আমি ক্যারিয়ারে এতটা সাফল্য পাইনি।’
বিজ্ঞাপন
মিমের জীবনে তার স্বামী পরশ পাথর হয়ে এসেছেন উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিয়ের পর আমার সবকিছুই ভালো কিছু হচ্ছে। অনেকেই বলেন, বিয়ে করলে ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আসলে ক্যারিয়ার বিয়ের ওপর না, কাজের ওপর নির্ভর করে। আমি এটা প্রমাণ করে দিয়েছি।’
সবশেষে মিম বলেন, “আমার পরবর্তী সিনেমা ‘দামাল’। বর্তমানে এটি সেন্সরের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে। আজ সেন্সরবোর্ডের সবাই দেখেছেন ছবিটি। অরুনা দি (অরুনা বিশ্বাস) নিজে ফোন করে জানিয়েছেন, ছবিটি দেখে কেঁদেছেন সবাই।”
‘দামাল’ নির্মাণ করেছেন ‘পরাণে’র পরিচালক রায়হান রাফি। এই ছবিতেও মিমের সঙ্গে দেখা যাবে শরিফুল রাজকে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় পর্দায় সম্পূর্ণ নতুন রূপে হাজির হবেন বলে জানালেন এই তারকা।
আরআর