নিরন্তর ছুটে চলার ব্যস্ততা আর চারিদিকে তীব্র প্রতিযোগিতা থেকে ছোট্ট একটি উপভোগ্য বিরতি নেয়ার তাগিদ বোধ করে অনেকেই। আর তাদের জন্যই 'বিইউপি ফিল্ম ক্লাব'। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সম্পৃক্ততায় ‘যান্ত্রিক দৌড়ে বিরতির আহ্বান’ নিয়ে আয়োজন করেছিল বিইউপি ফিল্ম ফেস্ট। গত ২ ও ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিনেমার এই মেলা।
জমকালো এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল এই মেলার। প্রধান অতিথি ছিলেন বিইউপির উপাচার্য, মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম। তিনি শিক্ষার্থীদের সিনেমা প্রেমে সমস্ত সীমা অতিক্রম করার উৎসাহ দেন ও সফল অনুষ্ঠানের জন্য ক্লাব সদস্যদের প্রশংসা করেন।
বিজ্ঞাপন
সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় উৎসবের দ্বিতীয় আকর্ষণ- বিইউপি ফিল্ম ক্লাব দ্বারা নির্মিত স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "মুদ্রাকথন" দিয়ে। এটি বিইউপির কোন ক্লাবের তৈরি প্রথম শর্টফিল্ম। প্রসিদ্ধ নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম ছিলেন সিনেমা নির্মাণ প্রতিযোগিতার বিচারক। বিশেষ অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠান আলোকিত করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা আবুল হায়াত।
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের পর থেকে এখন পর্যন্ত সিনেমা নিয়ে তার অভিজ্ঞতা এবং ভালোবাসার কথা বলেছেন তিনি। গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও আবুল হায়াত দুজনেই শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যৎ তারকা চলচ্চিত্র নির্মাতা খুঁজে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনগণ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান, অনুষদবৃন্দ, মডারেটর প্রমুখ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশন দিয়ে পর্দা নামে তৃতীয় ফিল্ম ফেস্টের।
এর আগে প্রধান অতিথি হিয়ে ফেস্টের উদ্বোধন করেন 'ফ্যাকাল্টি অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ' অনুষদের ডিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমরান আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ রবিউল আলম (অব.), আর্টি।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং আগস্ট মাসের শোকের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বিইউপি ফিল্ম ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের মাস্টারক্লাস দর্শকদের জন্য বেশ মজাদার একটা পর্ব ছিল।
এরপর আসে এই বছরের ফিল্ম ফেস্টের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আকর্ষণ- সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র শিল্পীদের সাথে কুশল বিনিময় ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। ‘হাওয়া’র জনপ্রিয় ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানে মাতোয়ারা হয় পুরো অডিটরিয়াম। প্রথম দিনটি কসপ্লে রাউন্ড দিয়ে শেষ হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ মিলেছে। স্ক্রিপ্ট রাইটিং, শর্টফিল্ম মেকিং, পোস্টার ডিজাইনিং, কসপ্লে, সিনেমা কুইজ ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে ২৫টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া ছিল এ বছর।
এআইএ/ একেবি

