মুক্তির আগে থেকেই নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা বলে আসছিলেন এক শ ভাগ মৌলিক গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘হাওয়া’। প্রেক্ষাগৃহে আসার দুই দিন না যেতেই শোনা গেল, এ ‘হাওয়া’ নকল। কোরিয়ান সিনেমা ‘সী ফগে’র অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। এমন দাবি তুলেছেন নেটিজেনদের একটি অংশ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের মতো করে পোস্ট দিচ্ছেন তারা।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি সিনেমাটিকে সম্পূর্ণ মৌলিক গল্পের বলে দাবি করেন ঢাকা মেইলের কাছে।
যারা নকলের অপবাদ তুলেছেন তারা ‘হাওয়া’ না দেখেই এসব বলছেন উল্লেখ করে সুমন বলেন, ‘যারা এই দাবি তুলেছেন মনে হয় তারা আমার সিনেমাটি দেখেননি। তাদের বলব, আপনারা আগে আমার সিনেমাটি দেখে, মিলিয়ে তারপর এরকম দাবি তুলুন।’
এরপর তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জোর গলায় বলে আসছি এটা এ অঞ্চলের গল্প। এখনও বলব এটা আমাদের ছবি। আসলে এখানে এত নকল ছবি হচ্ছে যে দর্শকের মাথায় সবসময় এই ব্যাপারটা থাকে। যারা নকল বলছেন তাদের প্রতি আমার আহ্বান, তারা দুটি সিনেমা পাশাপাশি রেখে দেখুক।’
সবশেষে ‘সী ফগ’-এর সঙ্গে ‘হাওয়া’র গল্পের কোনো মিল নেই উল্লেখ করে এই নির্মাতা বলেন, ‘ছবি দুটির শুটিং সাগরে হয়েছে বলে অনেকে হয়ত এরকম ভাবছেন। তাদের ধারণা ভুল। সাগরে দৃশ্যধারণ করা হলেই তো আর সিনেমা এক হয় না। পৃথিবীতে সমুদ্রের গল্পে নির্মিত অসংখ্য চলচ্চিত্র আছে। আর যে সিনেমাটির কথা বলা হচ্ছে সেটা মানব পাচারের গল্পে নির্মিত হয়েছে। আমার সিনেমার সঙ্গে ওই ছবিটির কোনো মিল নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দেশের ২৪ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম, বাবলু বোস প্রমুখ। সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সুমন, জাহিন ফারুক আমিন ও সুকর্ণ সাহেদ ধীমান
বিজ্ঞাপন
আরআর