প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে প্রেম ছিল জ্যাকুলিনের। ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ সুকেশের কাছ থেকে দামি দামি উপহার নিয়েছেন এই বলিউড সুন্দরী।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রেম নিবেদনে জ্যাকুলিনের হাতে হীরার আংটি পরিয়েছিলেন সুকেশ। এখানেই শেষ নয়, একবার এক ভালোবাসা দিবসে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। তখন প্রেমিকার মান ভাঙাতে টাকাও ব্যয় করতে রাজি ছিলেন সুকেশ। তিনি জ্যাকুলিনের মাথা ঠাণ্ডা করার দায়িত্ব দেন তাদের কমন ফ্রেন্ড পিঙ্কি ইরানিকে। এজন্য তাকে ১০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন সুকেশ। পিঙ্কি ইরানির হাত ধরেই জ্যাকুলিনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সুকেশের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন সুকেশ।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার হওয়ার পর জ্যাকুলিনের সঙ্গে সুকেশের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ্যে আসে। সুকেশের দাবি, জ্যাকুলিনকে বিপাকে ফেলতেই ছবিগুলো নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যম বরাবর একটি একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
সেই চিঠিতে সুকেশ লিখেছেন, ‘আমার আর জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় আমার খুব খারাপ লেগেছে। এটা মোটেই উচিত হয়নি। আগেই জানিয়েছিলাম আমি আর জ্যাকুলিন সম্পর্কে রয়েছি। তবুও তাকে নিয়ে নানা কুমন্তব্য করা হচ্ছে। তিনি টাকার জন্য আমাকে ভালবাসেননি। আর আমার দেওয়া সব উপহারগুলো আমাদের ভালবাসার প্রতীক। তাই জ্যাকুলিনকে এসব থেকে দূরে রাখা হোক। তিনি একেবারেই নির্দোষ।’
সুকেশ চন্দ্রশেখর মামলায় আরও নাম জড়িয়েছে নোরা ফতেহি, জাহ্নবী কাপুর ও সারা আলি খানের। সম্প্রতি এই কাণ্ডে ভূমি পেন্ডেকারেরও নাম জড়িয়েছে। জানা গেছে, ভূমিকে কাছে পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরের জিজ্ঞাসাবাদে ভূমি জানিয়েছেন, সুকেশের কাছ থেকে কোনো উপহার নিতে রাজি হননি।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুকেশের সঙ্গে আলাপ হয় জ্যাকুলিনের। সেই সময় নাকি নিজেকে ‘সান টিভি’র মালিক বলে দাবি করেছিলেন সুকেশ। তারপর ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সুকেশের গ্রেফতারির পর আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি জ্যাকুলিন।
দুই শ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় সাত হাজার পাতার চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে সুকেশ ও তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পলের বিরুদ্ধে।
আরএসও
