বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। দিনটি এলেই লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশ পল্লীতে ভিড় করেন তার পরিবার ও অনুরাগীরা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও দুই সন্তান।
হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ছিল একটি ক্যানসার হাসপাতাল গড়ার। জীবদ্দশায় তিনি তা করে যেতে পারেননি। এদিকে মৃত্যুর একদশক পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি স্বপ্ন। অসম্পূর্ণ স্বপ্নটি কী বাস্তবায়ন হবে না— স্ত্রী হিসেবে মাঝে মাঝেই শাওনকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এদিন এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে শাওন সাফ জানিয়ে দিলেন হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন পূরণের সামর্থ্য তার নেই।
বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘আমি খুব ক্লান্ত হয়ে যাই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে। আমার একার পক্ষে এটা (হাসপাতাল) করা সম্ভব না। তার স্বপ্ন অনুযায়ী ক্যানসার হাসপাতাল করার শক্তি অর্জন করতে পারিনি। সরকার যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে হুমায়ূন আহমেদের সম্পদ দিতে তার পরিবার পিছপা হবে না।’
তবে এ সময় শাওন লেখকের আরও একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘সুসংবাদ হচ্ছে, হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি স্বপ্ন ছিল তার গ্রামের স্কুল নিয়ে। সেটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। এ মাসেই সেটা এমপিওভুক্ত হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় শাওন বরেণ্য এই লেখককে নিয়ে তার পরবর্তী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবি দিয়ে নুহাশ পল্লীতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে। তার চিত্রকর্ম ও হাতে লেখা স্ক্রিপ্টগুলো সংরক্ষণ করা হবে সেখানে।
আরআর

