ধর্মীয় রীতি মেনে চলা বাবা কখনও চাননি মহম্মদ রফি গান করুক। তবে মা ও ভাইয়ের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় সুরের পথে হেঁটেছেন উপমহাদেশের এই বিখ্যাত গায়ক। তবে ভেতরে ভেতরে বাবার নিষেধাজ্ঞা কুরে কুরে খেত। গান গাওয়ায় কারণে নিজেকে পাপী মনে করতেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
মনস্তাত্ত্বিক ওই দ্বন্দ্বের কারণে নিজের সন্তানদের গান থেকে দূরে রাখেন রফি। পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেন লন্ডনে। আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন সুরের পথ থেকে সরিয়ে রাখতে তাদের।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রফির ছেলে শাহিদ রফির কথায় উঠে এসেছে গায়কের শৈশব। ফকিরের গান শুনে সংগীতের প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল রফির। এরকম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমার বাবা সেই দিন ফকিরকে বলেছিলেন, তিনি তার কণ্ঠের প্রেমে পড়ে গেছেন। ফকির যে গানটি গাইছিলেন, সেটিও তিনি তুলে ফেলেছেন। তখন ফকির আমার বাবাকে গাইতে বলেছিলেন। বাবার গান শুনে ফকিরও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। বাবাকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন।”
তবে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান রাফির বাবা। ছেলের গানের বিরোধীতা করেন তিনি। যদিও মা পাশে ছিলেন তার। পুত্রকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, “চিন্তা করিস না। আমি সবটা সামলে নেব।”
এদিকে রাফির কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে অভিনেতা নাসির খান তাকে মুম্বাই যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেখানেও বাধ সাধেন বাবা। এক সাক্ষাৎকারে রফি বলেছিলেন, “আমি লাহৌরের বাসিন্দা। খুবই রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে বড় হয়েছি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গাইতে যেতাম। এমনই এক দিন প্রযোজক তথা অভিনেতা নাসির খান আমাকে খুঁজে পান এবং মুম্বাই নিয়ে গিয়ে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন।”যদিও ভাইয়ের মাধ্যমে বাবার প্রতিবন্ধকতার দেয়াল সরিয়ে নেন রফির বাবা।

