বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে ‘ধুরন্ধর’। আয়ের দিক থেকে মুক্তির চার দিনে ভেঙেছে সাইয়ারার রেকর্ড। চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। ঠিক তখন রণবীর সিংয়ের ছবির ওপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজ়ির ভুট্টোর ছবি বেআইনি ভাবে এই সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তান পিপল্স পার্টির (পিপিপি) অবস্থানকেও ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন

সামাজিক মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলেছেন পিপিপি-র মুখপাত্র তথা সিন্ধ টাস্ক ফোর্স-এর সদস্য সুমেতা আফজাল সাইদ। তিনি বলেছেন, “সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ধুরন্ধর’-এ বেআইনিভাবে শহিদ বেনজ়ির ভুট্টোর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দেখানো হয়েছে, পিপিপি যেন সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।”
সুমেতা দাবি করেছেন, পাকিস্তান বরবাবর-ই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব। তাছাড়া পিপিপি কখনও সন্ত্রাসবাদকে সহানুভূতি জানায়নি। উল্টো আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “যেভাবে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে, তার কঠোরভাবে নিন্দা করি আমরা। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্মানিত এক নেত্রীকে অপমান করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ রইল সরকারের কাছে।”

বিজ্ঞাপন
সিনেমাতে বালোচিস্তানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর বিরোধিতা করেছেন বালোচ মানবাধিকারকর্মী। তার দাবি বালোচ কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না এবং ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে সিনেমাটিতে। এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “বালোচিস্তানের মানুষ কখনও ভারতের ক্ষতি করার জন্য আইএসআই-এর সঙ্গে জোট বাঁধেনি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে মোটেও সুবিচার করেনি এই ছবি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে অস্ত্রের অভাব রয়েছে। তা না হলে পাকিস্তানকে বহু আগেই হারিয়ে দিতে পারত।”
‘ধুরন্ধর’ পরিচালনা করেছেন আদিত্য ধর। ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ছবিটি। রণবীর ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, সঞ্জয় দত্ত, আর মাধবন ও সারা অর্জুন।

