মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রেড সি উৎসবে অস্কারে যাওয়া সৌদির ছবি ‘হিজরা’র জমকালো প্রিমিয়ার

আলমগীর কবির
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

রেড সি উৎসবে অস্কারে যাওয়া সৌদির ছবি ‘হিজরা’র জমকালো প্রিমিয়ার
জেদ্দায় রেড সি চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হিজরা’ ছবির স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত কলাকুশলী ও অতিথিরা। ছবিতে রয়েছেন পরিচালক শাহাদ আমিন, প্রযোজক মোহাম্মদ আল দারাদ্জিসহ অন্যরা।

সৌদি আরবের অস্কার এন্ট্রি ‘হিজরা’ চলচ্চিত্রটি রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০২৫-এ জমকালো প্রিমিয়ার হয়েছে। পরিচালক শাহাদ আমিনের এই রোড মুভিতে তিন প্রজন্মের সৌদি নারীদের আবেগময় যাত্রার গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির রেড কার্পেট প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন মিশরীয়-ব্রিটিশ তারকা আমির এল-মাসরি, মিশরীয় অভিনেত্রী আসমা গালাল এবং মার্কিন অভিনেত্রী এমিলি অ্যাশবি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।


বিজ্ঞাপন


‘হিজরা’ চলচ্চিত্রে একজন দাদি ও তার দুই নাতনির তায়েফ থেকে মক্কার যাত্রার গল্প বলা হয়েছে। যখন বড় নাতনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়, তখন দাদি ও ছোট নাতনি তাকে খুঁজতে উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করেন। এই অনুসন্ধান যাত্রায় সৌদি নারীদের মধ্যকার গভীর সাংস্কৃতিক ও প্রজন্মগত বন্ধনের চিত্র ফুটে উঠেছে।

হজ্জ তীর্থযাত্রার পটভূমিতে নির্মিত এই ছবিতে নারীদের অন্তরঙ্গ ও আবেগময় যাত্রা একটি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানে রূপান্তরিত হয়। সৌদি আরবের আটটি শহরে চিত্রায়িত এই চলচ্চিত্রটি দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীর চিত্র তুলে ধরেছে।

ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক শাহাদ আমিন জানান, ‘আমার কাছে একটি নিখোঁজ মেয়ের ধারণা ছিল যা নিয়ে আমি বছরের পর বছর কাজ করছিলাম। জেদ্দায় বাবার সঙ্গে ছোট বোন তার বড় বোনকে খুঁজছে; এমন একটি স্ক্রিপ্ট আমার তৈরি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমি সেটি অপছন্দ করতে শুরু করি। মনে হলো এটি খুব শিশুসুলভ। আমি সেটি বাতিল করে দিই।’

‘কয়েক বছর পর আমার প্রযোজক মোহামেদ আল-দারাদজির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, ‘স্কেলস’ ছবিতে যে পিতৃতান্ত্রিক বাবার গল্প করেছ, সেটি থেকে কি তুমি ক্লান্ত নও? যদি একজন দাদিকে নিয়ে বহু-প্রজন্মের প্রেক্ষাপটে নারীদের গল্প বল? এভাবেই নতুন করে শুরু হয়।’


বিজ্ঞাপন


গল্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সংযোগ সম্পর্কে আমিন বলেন, ‘আমার পরিবার, এটা আমি খুব একটা বলি না কিন্তু আমার বাবার পরিবার চীন থেকে আসা পঞ্চম প্রজন্মের অভিবাসী। তাই আমি ভাবলাম, যদি নিখোঁজ মেয়েটি একজন অভিবাসী হয়? এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ সূত্র হয়ে উঠল।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি আগের স্ক্রিপ্টে ফিরে গেলাম, সেখানে সবচেয়ে ভালো দৃশ্য ছিল যখন তারা হজ্জের সময় তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে মক্কার একটি চেকপয়েন্ট পার হয়। হঠাৎ করেই সবকিছু সংযুক্ত হয়ে গেল এবং এটি অভিবাসন নিয়ে একটি গল্প হয়ে উঠল। এটি একটি মেয়ের গল্প যে তার দাদির কাছ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে যেতে চায়।’

‘হিজরা’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং সৌদি নারীদের পরিবর্তনশীল জীবন এবং তাদের আকাঙ্ক্ষার এক শিল্পিত প্রতিফলন।

/একেবি/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর