‘অমীমাংসিত’-এর মুক্তিজনিত জটিলতা এখন মীমাংসিত। চলতি মাসে শুভ দিন দেখে দর্শকের সামনে আনবে আইস্ক্রিন। এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেইলের সঙ্গে ফোনালাপ জমেছিল অভিনেত্রীর।
লম্বা সময় মুক্তিজনিত জটিলতায় ভুগেছে ‘অমীমাংসিত’। নিশ্চয়ই আলাদা ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটা কেমন?
বিজ্ঞাপন
কাজ করার সময় আমাদের প্রত্যাশা থাকে দর্শকের কাছে কাজটি যেন দ্রুত পৌঁছাতে পারে। কেননা টাটকা জিনিসের একটা মজা আছে। একটি কাজ অনেকদিন পড়ে থাকলে বা অনেকদিন পর রিলিজ হলে আমাদেরই আর মজাটা থাকে না। তাছাড়া ‘অমীমাংসিত’ আর দশটি কাজের মতো না। গল্পটা ভিন্ন। তাই প্রত্যাশা বেশি ছিল। অবশেষে আসছে। আমরা হ্যাপি।

কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘অমীমাংসিত’— প্রশ্নটি কীরকম তাড়া করেছে?
এটা খুব কষ্টদায়ক ছিল। কারণ যখনই অন্য কোনো কাজ করেছি বা কারও সঙ্গে দেখা হয়েছে— পরিচিত-অপরিচিত সবার একটাই প্রশ্ন ছিল, অমীমাংসিত কবে আসবে? এটা কি রিলিজ হবে না, আলোর মুখ দেখবে না— কতবার যে প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হয়েছি। অবশেষে আমরা জোর গলায় বলতে পারছি, ‘অমীমাংসিত’ আসছে এবং সেটা এ মাসেই।
বিজ্ঞাপন
‘অমীমাংসিত’-এ যুক্ত হওয়ার গল্পটা কেমন?
রায়হান রাফী একদিন ফোন করে বলল, ফ্রি থাকলে একটু অফিসে যেতে। আমি গেলাম। ও আমাকে বলল, এটা করব। শুনে আমি বলি, আসলেই করবা এরকম কিছু? এত ভালো একটা গল্প! সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ভাবিনি।

আপনার অভিনীত চরিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাই…
আমি সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে সাংবাদিক দম্পতিকে খুন করা হয়। আমার হাজব্যান্ডের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ। আমাদের একটা মেয়ে আছে। নাম বৃষ্টি। আসল গল্প তো মানুষ এরমধ্যে আন্দাজ করেছে যে কাদের নিয়ে বানানো হয়েছে। ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটা ক্যারেক্টার ছিল। শুটিং এমনিতেই কষ্টের কাজ। তবে এই কাজটি করার সময় আমাদের মনেও অনেক কষ্ট ছিল। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে শুটিং করেছি। অনেক কিছু মনে পড়ছিল। স্মৃতিচারণ করছিলাম।
প্রস্তুতি কেমন ছিল?
অনেক সময় দিতে হয়েছে। গুগল ঘাটতে হয়েছে। এরচেয়ে বেশি বলতে চাচ্ছি না। সবাই দেখুক। তারপর বলব।

বর্তমান ব্যস্ততা…
এ মাসে আমার দুটি কাজ আসছে। একটি আইস্ক্রিনের ব্যানারে ‘অমীমাংসিত’। অন্যটি চরকির ব্যানারে মিনিস্ট্রি অব লাভের ছয় নাম্বার ফিল্ম ‘ডিমলাইট’। ১১ ডিসেম্বর আসবে এটি।
আরআর

