গত জুলাই মাসে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের অভিযোগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন রাশেদা আক্তার নামে এক নারী। অভিনেতার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেওয়া এবং তার স্বামীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ফের একটি মামলা করেছেন রাশেদার স্বামী আব্দুল মজিদ।
ডিপজলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে করা মামলার শুনানি শেষে আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগী রাশেদা। ডিপজলের অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ডিপজল আমাদের জীবনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আগেও সে আমাকে মারধর করেছে, এসিড ছুঁড়েছে। এবার আমার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমরা কোথায় গেলে নিরাপদ থাকব জানি না।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে মামলার নথিতে মজিদ উল্লেখ করেছেন যে, আগের মামলা করার পর ডিপজল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। ভয়ে রাশিদা আক্তার দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী চলে আসে। গত ৪ সেপ্টেম্বর তারা বাসা থেকে কাজে গেলে তাদের মেয়ে বাসায় একা ছিল। তখন ডিপজলের সন্ত্রাসী বাহিনীর ১০/১২ জন বাসায় প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। মেয়েকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন। এতে ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়।
এছাড়া আব্দুল মজিদ গত ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার পেছনে হোটেলে খাবার খাওয়ার জন্য গেলে দু’জন তাকে কথা আছে বলে ডেকে নেয়। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে শনির আখড়ায় একটি বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায় নেয়। সেখানে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। ডিপজলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আব্দুল মজিদকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে ডিপজলের সহযোগী মো. ফয়সাল তাকে রড দিয়ে মারধর করে। অন্যারাও মারধর করতে থাকে। ফলে মারাত্মক আহত হন তিনি। ডিপজল আব্দুল মজিদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করতে যায়। পরে ডিপজলের পা ধরে জীবন ভিক্ষা চায় আব্দুল মজিদ এবং মামলা তুলে নেবে বলে জানায়।
এ সময় আব্দুল মজিদের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা এবং বিকাশে থাকা সাড়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। আর দুই দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের শর্তে তাকে আহত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে রাশিদা আক্তার তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। গত ৩ নভেম্বর মামলা করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানায় যান তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি।
ইএইচ/

