ঢালিউডের রাজপুত্র খ্যাত অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য আজও অমীমাংসিত। প্রায় তিন দশক আগে তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। তার মাঝেই ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল সাংবাদিক রবি আরমানের লেখা বহুল আলোচিত ও সমালোচিত বই ‘সালমান শাহ, নক্ষত্রের আত্মহত্যা’।
রবির এই বইটিতে তিনি সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে তুলে ধরেন। পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল বইটি। তবে বইয়ের ভেতরের কিছু তথ্য অসংগতি থাকায় প্রকাশের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এটি বাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রয়াত নায়কের মা নীলা চৌধুরীর আপত্তিতে আদালতে মামলা দায়েরের পর বইটির বিক্রি ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আদালতের নির্দেশের পর বাজার থেকে বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

নব্বইয়ের দশকের বিনোদনবিষয়ক এক সিনিয়র সাংবাদিক গণমাধ্যমকে বলেন,“বইটিতে ‘আত্মহত্যা’ শব্দ ব্যবহার হওয়ায় সালমান শাহর মা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি আদালতে যান এবং পরে বইটি জব্দের নির্দেশ আসে।”
এই বইটির প্রচ্ছদের পেছনে লেখা ছিল এক আবেগঘন ভূমিকা“আমাদের সিনেমার বাগানে একটি ফুল ফুটেছিল—সুবাসিত ও উজ্জ্বল। নাম তার সালমান শাহ। চন্দ্রালোকে ভেসে যাওয়া সেই সফল ও উচ্ছল যুবকের দেহে বিঁধেছিল গোপন এক বিষকাঁটা। অন্তর্লীন যাতনায় নীল হয়ে এক শুভ্রসকালে হঠাৎ সে আত্মদংশনে হারিয়ে যায়। তারপর সেই বাগানে পাখিরা আর গান গায় না, ফুল ফোটে না, বাতাসে ভাসে বিষাদের একটানা করুণ সুর।”
বিজ্ঞাপন
এরপর লেখা ছিল, ‘দুর্ভেদ্য রহস্যের পর্দা সরিয়ে সালমানচরিতের সেই গোপনগাঁথা উঠে এসেছে এক অন্তরঙ্গজনের সাহসী কলমে। ঢাকার সিনেমা বলয়ের এক উজ্জ্বল সময় ও সেই সময়ের মহানায়ক সালমান শাহকে ঘিরে এটি এক বিরল দলিল।’
ইএইচ/

