সামাজিক মাধ্যম সরগরম নারী উদ্যোক্তা সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির তৃতীয় বিয়ের খবরে। স্বামীর মৃত্যুর বছর না ঘুরতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসায় তার সমালোচনায় মেতেছেন অনেকে। আবার কেউ দাঁড়িয়েছেন পাশে। তবে বিয়ে নিয়ে মুখ না খুললেও সমালোচনা নিয়ে সরব হয়েছেন।
তনিকে সমর্থন জানিয়ে আফজার পরশিয়া নামের এক উদ্যোক্তা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কাওকে কোনো রিপ্লাই দেয়ার ইচ্ছা নেই। আপনাদের পরিবারে যখন কোনো মেয়ে বিধবা বা বিচ্ছেদ হয় আপনারা কি চান না সেই মেয়েটার আবার সংসার হোক? তাহলে তনি কিছু করলেই আপানদের এত খোঁচাতে হবে কেন? ওকে নিয়ে কথা বললে দুইটা ভিউ বেশি হয় এইজন্যে?
বিজ্ঞাপন
এরপর লেখেন, আর একটা কথা অনেকেই বলতেসেন ভাইয়ার সংসার নষ্ট করে ও ভাইয়াকে বিয়ে করেছে, ভাইয়ার আরও ৬ বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে । ওরা একটা হালাল সম্পর্কে আছে। আমরা আসলে কেমন হয়ে গেছি হালাল সম্পর্কের চেয়ে হারাম সম্পর্কগুলো কে বেশি অ্যাপ্রিসিয়েট করি। যাই হোক ওদের নতুন জীবনের জন্যে অনেক দোয়া করবেন । মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বইলেন না । কালকে নিজে এই পরিস্থিতে পড়লে তখন মুখ দেখাতে পারবেন না
এই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তনি লিখেছেন, যাদের ডিভোর্স হবে সব আমার দোষ। জবাবে আফজার লেখেন, আল্লাহর সম্পর্ক ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। আল্লাহর হুকুমে একটি হালাল সম্পর্কে গেছো, এজন্য আপামনিরা ঘুমাতে পারছে না।
তনির তৃতীয় স্বামী সিদ্দিকের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী। পড়ালেখা করেছেন সেখানকার যুক্তরাজ্যের ডি মন্টফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার দেশের বাড়ি খুলনা।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ৭ অক্টোবর ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তনির দ্বিতীয় স্বামী ও ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসাইন। তনি ও তাঁর প্রায়াত স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। ফেসবুক লাইভে এলে নানারকম ট্রলের মুখে পড়তে হয়েছে এই নারী উদ্যোক্তাকে।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নিয়েছিলেন তনি।

