সম্প্রতি আলোচনায় বলিউড গায়ক কুমার শানুর ব্যক্তিগত জীবন। গায়কের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। সপ্তাহ খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নির্যাতনের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছে রান্নাঘরে তালা দিয়ে রাখতেন কুমার শানু। নির্যাতনের কথা স্মরণ করে রীতা বলেন, ‘ওঁরা যখন বাইরে বেরোত, রান্নাঘরে তালা দিয়ে দিত। তখন আমি ভাত খাওয়ার জন্য বৌদির কাছে যেতাম। বৌদির রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করতাম। তারপরে খেতে পারতাম।’
বিজ্ঞাপন
গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগের দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাক্তন স্ত্রী রীতেকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন শানু। জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পীর পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী সানা। তিনি বলেন, ‘কুমার শানু চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতজগতে সক্রিয়। সারা পৃথিবীতে তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে। কিছু মিথ্যা অভিযোগ সাময়িকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে, তবে তা একজন শিল্পীর সারাজীবনের সৃষ্টিকে কলঙ্কিত করতে পারে না। শিল্পীর মর্যাদা, উত্তরাধিকার ও পরিবারের সম্মান রক্ষায় আইনের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কুমার শানুর তৃতীয় সন্তানের নাম জান কুমার শানু। জান যখন রীতার গর্ভে তখন দোকান থেকে কিছু কেনার উপক্রম ছিল না। কোনো খাদ্য খাবার আনতে গেলে বলা হত, পরিবার থেকে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। গায়কের স্ত্রীর কথায়, ‘জান যখন আমার গর্ভে, তখন আমি ঠিক করে খেতে পর্যন্ত পাইনি। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তাম।’
বিজ্ঞাপন
কুমার শানুর আইনিজীবী জানিয়েছেন, রীতার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। তাই নোটিশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে, যাতে মিথ্যা প্রচার বন্ধ হয় এবং তার সুনাম অক্ষুণ্ন থাকে।
কুমার শানুর বাংলা, অহমীয়া, নেপালি, ভোজপুরি, পঞ্জাবি, ওড়িয়া, তেলেগু এবং কন্নড় ভাষার গানগুলো এখনও ভক্তদের হৃদয়ে দোলা দেয়।
ইএইচ/

