সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আজ। বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে। পূজায় মা-বাবাকে মনে পড়ে তার।
তার কথায়, কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। দাদা-বউদির সঙ্গে বাসায় সময় কাটিয়েছি। এ বছর ঘরোয়াভাবেই পূজা উদযাপন করেছি। এ উৎসবে এখন কোথাও যেতে মন চায় না। পূজার দিনগুলোয় মা-বাবাকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। তারা বেঁচে নেই। তাদের অভাব কোনোদিন পূরণ হবে না। প্রতিদিনই তাদের মিস করি। তবে পূজায় আরও বেশি কষ্ট লাগে।
বিজ্ঞাপন

ছেলেবেলার কথা মনে করে অপু বলেন, বগুড়াতেই আমার বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় সেখানেই পূজার দিনগুলো কাটত আনন্দে। বাবা, কাকা, মা এবং আরও অনেক আত্মীয়স্বজন থাকতেন। পূজার এ সময়টায় সবাই একত্র হতেন। তখন আমাদের বাড়ি উৎসবে মুখর হয়ে উঠত।
তিনি যোগ করেন, নতুন জামা পরে ভোরবেলা প্রতিমা দেখতে যাওয়া, মায়ের ভোগের খাবার, সবার সঙ্গে মিলে হৈ-হুল্লোড়- সবকিছু মিলে রঙিন হয়ে উঠত পূজা।

বিজ্ঞাপন
অভিনেত্রী বলেন, বাসায় বসে পূজায় টুকটাক রান্নার চেষ্টা করি। নিরামিষ রান্না মায়ের (শেফালি বিশ্বাস) কাছ থেকে শেখা। মায়ের সব রান্নাই আমার প্রিয়। তবে বেশি মনে পড়ে মায়ের হাতে মাখা চচ্চড়ি, পাঁচমিশালি সবজি আর আলুর দমের কথা। মা এ খাবারগুলো অন্য রকমভাবে রাঁধতেন। প্রতিটি রান্নার উপাদানের নিজস্ব একটা স্বাদ রয়েছে। পূজার খাবারের মধ্যে আমার প্রিয় মহাষ্টমীর ভোগের থালা। ভোগের থালা মানেই খিচুড়ি, লাবড়া আর নানা পদের ভাজা। ওই খাবার অমৃত বলে মনে হয়।

