শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ধর্ষণের অভিযোগে মুখ খুললেন নির্মাতা, বললেন ভাইরাল হওয়ার নেশা

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, মুখ খুললেন নির্মাতা

অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিসোর্টে নিয়ে অভিনেত্রী তাছলিমা খাতুন আয়েশাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাট্যনির্মাতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ মাসুদ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটির ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। ভুক্তভোগী তাছলিমা খাতুন আয়েশা শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিযুক্ত নাসির। অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি অভিযোগকারী তাছলিমা খাতুন আয়েশার বিরুদ্ধে আনলেন অভিযোগ। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‌‘এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। শত্রুতামূলকভাবে করা হচ্ছে। অনেকেই দেখছে আমি দুই-চারটা ভালো কাজ করছি। সহ্য হচ্ছে না তাদের। হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।’


বিজ্ঞাপন


ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এরকম অভিযোগ আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‌‘এই মেয়ে (তাছলিমা খাতুন আয়েশা) ভাইরাল হওয়ার নেশায় এগুলো করছে। সে কীসের অভিনেত্রী। কোথায় কাজ করেছে। আমি ২৪ বছর ধরে থিয়েটার করি। অভিনয়ের ওপর পড়াশোনা করেছি। আর ওই মেয়ের (তাছলিমা খাতুন আয়েশা) কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। একজন নিজেকে অভিনেত্রী পরিচয় দিলেই তো হয়ে গেল না। সে ভাইরাল হতে এগুলো করছে। তাকে দিয়ে কেউ করাচ্ছে।’

এরপর বলেন, ‌‘মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এরকম একজন শিল্পী এক নাটকের সেটে ওই মেয়ের (তাছলিমা খাতুন আয়েশা) সঙ্গে আমাকে পরিচয় করে দেন। এরকম অনেকেই অনেককে পরিচয় করিয়ে দেন, অভিনয়ের সুযোগ দিতে বলেন। এই মেয়ের সঙ্গে সেভাবেই আমার পরিচয়।’

রিসোর্টে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‌‘ওই মেয়েকে (তাছলিমা খাতুন আয়েশা) বলেছিলাম আমি একটি কাজে যাব। তখন সে বলে আপনার সঙ্গে দেখা হয় না; তাহলে আমিও সাথে যাই। তখন তাকে বলি, আমি কিন্তু অনেক দূরে যাব। সে উত্তরে বলে, অসুবিধা নাই আমি কিছু ছবি তুলব ফেসবুকে পোস্ট করতে ও রিলস বানাতে। আমরা সকালবেলা ওখানে গেছি এবং বারোটা একটার দিকে ফিরে এসেছি। কিন্তু সে যে আমাকে ফাঁসিয়ে দেবে কখনও ভাবিনি।’

অভিযোগকারী তাসলিমার বিরুদ্ধে দেহব্যবসার অভিযোগ এনে নাসির বলেন, ‌‘এই মেয়ের মূল পেশা দেহ ব্যবসা। তার মামলা চালানোর ক্ষমতা নেই। ওকে কেউ চালাচ্ছে। মামলার যদি সঠিক তদন্ত করা হয় তাহলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।’

এর আগে সংবাদমাধ্যমকে তাছলিমা খাতুনকে বলেছিলেন, ‌‘প্রায় চার-পাঁচ মাস আগে পূবাইলে শুটিং চলাকালে পরিচালক নাসিরউদ্দিন মাসুদ আমার মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত কল দিতেন এবং দু-একটি নাটকের শুটিংও একসাথে করেছি। হঠাৎ এক রাত শুটিংয়ের কথা বলে তিনি বাসা থেকে আমাকে নিয়ে যান। গভীর রাতে গাজীপুরের রাস্ রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে মাদক সেবনের পর পরিচালক মাসুদ ও তার সহকারী বাবর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। এরপর বয়স্ক এক ব্যক্তি, যাকে রিসোর্ট মালিক পক্ষের লোক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়, তৃতীয়বার ধর্ষণ করে। তারা তিনজন মিলে আমাকে গণধর্ষণ করেন। পরে বাবর আমার ব্যবহৃত আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়।’

বাদী জানিয়েছিলেন, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে রিসোর্ট থেকে বের করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়ার পর অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছিলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে রিসোর্টের ভেতরে প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রমাণ মিললে শুধু অভিযুক্তরা নয়, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিও খতিয়ে দেখা হবে।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর