আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা সানাই মাহবুব তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ৬ আগস্ট আদালতে একটি মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে ওই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অভিনেত্রীর করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন অভিযুক্ত আবু সালেহ মূসা।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে মূসার জামিন মঞ্জুর করেন মাহবুবুর রহমানের আদালত।
শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সানাই বলেন, আমি হাতজোড় বলছি আমি সঠিক বিচার চাই। যদি সে (স্বামী আবু সালেহ মূসা) আপস-মীমাংসা করতে চাই তাহলে ঠিক আছে।

এর আগে আদালাতে আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী খোরশেদ আলম। আদালতকে বলেন, সম্প্রতি এই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আদালতের নির্দেশে আজকে আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা একটা হলফনামা দিয়েছেন যে, তারা সংসার করতে চান। তারা বিষয়টি আপস করবেন। যে কোনো শর্তে আসামির জামিন প্রার্থনা করছি।
বিজ্ঞাপন
সানাই মাহবুবের আইনজীবী মিঠুন সাহা জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, এই মামলাটি আপোসযোগ্য। আসামি সংসার করতে চান। তাঁকে সুযোগ দিতে হবে। আপসের শর্তে আদালত তার জামিনের আদেশ দেন৷

গত ৬ আগস্ট করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৭ মে আবূ সালেহ মূসাকে বিয়ে করেন সানাই। বিয়ের সময় সানাই মাহবুবের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ দেয়া হয়। যা আসামির বাসায় রয়েছে। চাকরীর পাশাপাশি ব্যবসা করবে জানিয়ে সানাই মাহবুবকে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আবূ সালেহ মূসা। সানাই মাহবুব নিজের জমানো ১২ লাখ এবং বাবার কাছ থেকে ৭ লাখ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা এনে দেন। কিন্তু আবূ সালেহ মূসা ওই টাকা নষ্ট করে ফেলে।
ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য স্ত্রীকে দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টাও করেন মূসা। পুনরায় সানাইয়ের কাছে ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নেমে আসে।
ইএইচ/

