সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে ঝড় তুলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাশিয়ান মডেল মনিকা কবির। তাঁর সৌন্দার্যে বুঁদ হয়েছেন নেটিজেনরা। রাশিয়ান মডেল হলেও তিনি বাঙালি নারীদের মতো শাড়ি পরতে ভালোবাসেন। অনর্গল বাংলায় কথা বলতে পারেন। পাঞ্জাবীওয়ালা ছেলেদেরকে বেশ পছন্দ তাঁর। এমনকি বাংলাদেশি ছেলেকে বিয়ে করতে চান এ মডেল।
মনিকার এ মন্তব্য ঘিরে মুহূর্তেই সরগরম নেটদুনিয়া। অনেকেই জানতে চাইছেন তাঁর ব্যক্তিগত পরিচয়। মনিকার জন্ম রাশিয়ায়। বেড়ে উঠেছেন দেশটির রাজধানী শহর মস্কোতে। তাঁর মায়ের নাম ম্যারিয়া গোজেন। বাংলাদেশে মনিকা নামে পরিচিত হলেও তাঁর রুশ নাম মারিয়া ভ্যালিরিয়েভনা। এ মডেলের রুশ ডাকনাম মনিশকা।

এখানে প্রশ্ন থেকে যায় মনিশকা থেকে কীভাবে মনিকা কবির হলেন এই মডেল? এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “নামের শেষাংশের ‘কবির’ নিয়েছি আমার দাদার কাছ থেকে। দাদা ও দাদি ভারতের নয়াদিল্লির মানুষ। আমার বাবা সেখানেই বড় হয়েছেন। বাবা ব্যবসার খাতিরে রাশিয়ায় যান, সেখানেই আমার মায়ের সঙ্গে পরিচয়।”
মনিকার বাবা চামড়া একজন ব্যবসায়ী। বাবার ব্যবসাসূত্রে কখনও এশিয়া, কখনও ইউরোপে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মনিকার বাবার কাজের সূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছিন। মনিকার বাবা বাংলাদেশে চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ২০১২ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন।
বিজ্ঞাপন

শিক্ষা জীবনের প্রথমদিকে হোম স্কুলিং করেছেন। পাঁচ বছর বয়সে সরাসরি ক্লাস ফাইভে ভর্তি হন মনিকা। ১২ বছরে শেষ করেন কলেজের পড়াশোনা। এরপর ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে।
অনুবাদে আগ্রহ আছে বলে পড়তে শুরু করেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সলেশন বিষয়ে। মাতৃভাষা রুশসহ বাংলা, হিন্দি, পোলিশ, আজারবাইজানি, তুর্কি ও ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে পারেন তিনি। মনিকার বড় এক ভাই রাশিয়ায় থাকে, আর ছোট ভাই থাকে তুরস্কে।

বলে রাখা ভালো, চলতি বছরে মার্চ মাসে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন মনিকা কবির। সেই সময়ের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিও গেটে দেখা গেল ঢাকার পথঘাটে অদ্ভুত সব কাজকর্ম করছেন মনিকা কবির। পুলিশের সঙ্গে ছবি তুলছেন। আবার অচেনা পথচারীর হাতে তুলে দিচ্ছেন রাশিয়ার পতাকা। কখনও ঘুরছেন রিকশা-ভ্যানে চেপে।
মনিকা কবির এখন ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘আনজারার’ সঙ্গে কাজ করছেন। ‘আনজারা গার্ল’ পরিচয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গ জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করছেন।
ইএইচ/

