পাকিস্তানের আতিফ আসলাম ও বাংলাদেশের আসিফ আকবর সংগীত জগতে দুই দেশের দুই সুপারস্টার। কণ্ঠের জাদু দিয়ে লাখো ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন। তাঁরা মঞ্চ দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিলেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে লাখো মানুষের উল্লাস। গানের মাঠে তাঁরা যেভাবে বল ছুড়েছেন কণ্ঠে দিয়ে! তেমনভাবেই শৈশবে পাড়া মহল্লায় বাইশ গজ কাঁপিয়েছেন। দুই দেশের ভিন্ন দুই মানুষ। তবুও তাঁদের শৈশবের ইচ্ছা এবং বর্তমান পেশার মধ্যে কত মিল। এ দুই গায়কের শৈশবে স্বপ্ন ছিল পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার।
আতিফ আসলাম ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার হবেন। ক্রিকেটার গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকদের চার-ছক্কা উপহার দেবেন। স্বপ্ন একদিন সত্যি হয়ে ধরেও দিয়েছিল। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে লেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তাঁর বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ডাক্তার হোক।
বিজ্ঞাপন

ক্রিকেট ছাড়াও আতিফের গানের প্রতি ছিল ভালোবাসা। ক্রিকেটার না হতে পারলেও তিনি পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের একজন। তবে ক্রিকেট থেকে নিজেকে কখনও দূরে রাখতে পারেননি। সম্প্রতি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির থিম সং গেয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বড় তারকার ক্রিকেটার হওয়ার জন্য ঢাকা লীগে রেজিস্ট্রেশনও করেছিলেন। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে তখন আর খেলা হয়নি। যদিও তিনি পরে ক্রিকেটার হননি। তবে ক্রিকেট তাঁর মনে সবসময়ের জন্য জায়গা করে নিয়েছে।
আসিফ এখনও সুযোগ পেলে কৈশোরে ফিরে যান। খেলার প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রমাণ পাওয়া ফেসবুক পোস্টে। দেশের খেলার সব খবর রাখেন তিনি। এমনকি সময় পেলেই মাঠে বসে খেলা দেখেন জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী।
বিজ্ঞাপন

‘বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ’ ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গানটি এখনও কোটি মানুষের অন্তরে গেঁথে আছে। ক্রিকেট নিয়ে গাওয়া কালজয়ী বাংলা গানগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। ২০০৪-০৫ সালে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবহ সংগীত হিসাবে এটি তৈরী করা হয়। যা পরবর্তীতে আইকনিক গানে পরিণত হয়।
ইএইচ/

