সিনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে জনপ্রিয়তা রয়েছে অভিনেত্রী মৌ শিখার। মায়ের চরিত্রে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, হাতে কাজ নেই তার। প্রকাশ করেন হতাশা। এমন পোস্ট অবাক করেছে নেটিজেনদের। তবে ফিসফাস চলছে, নাটকপাড়ায় অনেকেই বেকার হয়ে পড়ছেন। সেসব নিয়েই ঢাকা মেইলের সঙ্গে ফোনালাপ মৌ শিখার।
হঠাৎ কাজ কমে যাওয়ার কারণ কী বলে মনে হচ্ছে?
বিজ্ঞাপন
বুঝতে পারছি না। সবাই বলছে কাজ কম হচ্ছে। আমিও দেখলাম সিনিয়ররা কাজ একটু কম করছেন। কিন্তু কাজ যদি কম হলে যারা নতুনরা কীভাবে মায়ের ক্যারেক্টরগুলো করছেন। তারা প্রতিদিন কাজ করছেন। ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

সিন্ডিকেট?
না, সিন্ডিকেট না। আসলে দেশের অবস্থা ভালো না। হয়তো সেই কারণে আগের মতো নাটক হচ্ছে না। কিংবা বাজেটে হচ্ছে না। কিন্ত আমার পারিশ্রমিকও তো খুব বেশি না। তাহলে আমার সাথে কেন এমন হচ্ছে?
বিজ্ঞাপন
অভিনয়ে আসাটা কী ভুল সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে?
এখন তো মনে হয় ভুলই হয়েছে অভিনয়ে এসে। এর চেয়ে চাকরি করলেই ভালো হতো। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলাম, চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছি। হঠাৎ একটি দূর্ঘটনা ঘটে। এরপর আমার ওজন বেড়ে যায়। কর্পোরেট চাকরির ক্ষেত্রে ওজন বাড়লে সমস্যা। অনেক খাটতে হয়। চিন্তা করলাম নাটকটা যেহেতু জানি তাহলে করি। তারপর আস্তে আস্তে অভিনয়ের দিকে গেলাম। অনেক ভালো ডিরেক্টরদের সঙ্গে কাজ করেছি। ২৫ বছর হয়ে গেছে।

আপনি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর কেউ যোগাযোগ করেছেন?
নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখি যোগাযোগ করেছেন। ২৮ তারিখ ডেট নিয়েছেন।
কাজ কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন কী?
কিছুই বুঝতে পারছি না। বিশ্বাস করুন ব্যাখা দেওয়ার মতো কিছু নেই। নাকি মানুষ ইউটিউবে এত বড় বড় নাটক কেউ দেখতে চাইছে না বা সিরিজগুলো দেখতে চায় না। আমি মাস্টার্স করা মেয়ে। সব ভাষায় কথা বলতে পারি। অঞ্চলিক ভাষা, গ্রামের ভাষায়। কিন্তু হয়তো কমেডি করতে পারি না। দৌড়াদৌড়ি, চিৎকার-চেচামেচি, উচ্চস্বরে ঝগড়া পারি না। এসব কারণে কী আমার কাজ কমে গেল বুঝতে পারছি না।
আরআর

