চিত্রনায়িকা কবরীর মিষ্টি হাসির সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ কমই আছেন। এই হাসিতে আজও বুঁদ হয়ে আছেন এদেশের সিনেমাপ্রমীরা। তারা ভালোবেসে তাকে নাম দিয়েছেন ‘মিষ্টি মেয়ে’। মিষ্টি হাসি দিয়ে বাঙালির হৃদয়হরণ করেছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার অর্জিত জনপ্রিয়তা মেপে দেখা কারও পক্ষে সম্ভব না।
আজ ১৯ জুলাই কবরীর জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। দিনটি ঘিরে চ্যানেল আই আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী বিশেষ চলচ্চিত্র উৎসব।
বিজ্ঞাপন

১৯ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন প্রচারিত হবে কবরী অভিনীত একটি করে চলচ্চিত্র। এগুলো হলো—১৯ জুলাই ‘মাসুদ রানা’, ২০ জুলাই ‘বধূ বিদায়’, ২১ জুলাই ‘বিনিময়’।
শুধু চলচ্চিত্র নয়, কবরীর স্মৃতিকে ঘিরে থাকছে আরও কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান। ২০ জুলাই বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে ‘কিউট সাময়িকী’—যেখানে থাকবে কবরীর জীবনের শেষ সাক্ষাৎকার। অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় রয়েছেন আবদুর রহমান।

বিজ্ঞাপন
এর পরদিন ২১ জুলাই দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘অভিনেত্রীর পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান। অভিনেত্রী মৌসুমীর উপস্থাপনায় এতে তুলে ধরা হবে কবরীর পাঁচ দশকের অভিনয়জীবনের নানা স্মৃতি। পরিচালনায় আছেন আবদুর রহমান। তিন দিনব্যাপী চলবে কবরীর অভিনীত চলচ্চিত্রের গান ও সিনেমার গান নিয়েও বিশেষ সম্প্রচার।
কিশোরী বয়সেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান কবরী। নির্মাতা সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ (১৯৬৪) ছিল তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। সুভাষ দত্ত তার নতুন ছবির জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন। সেসময় মীনা পালকে নায়িকা হিসেবে মনে ধরে তার। এভাবেই ‘সুতরাং’ সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় পা রেখে মীনা পাল হয়ে যান কবরী।

এরপর কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে কবরী দর্শকদের উপহার দিয়েছেন—‘হীরামন’, ‘ময়নামতি’, ‘চোরাবালি’, ‘বিনিময়’, ‘পারুলের সংসার’, ‘আগন্তুক’, ‘সারেং বউ’, ‘সুজন সখী’, ‘দুই জীবন’, ‘দেবদাস’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘লালন ফকির’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’, ‘বেইমান’, ‘রংবাজ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি।

