ময়মনসিংহ অবস্থিত উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এমন খবর সামনে আসার পর বাড়িটি সংস্কার ও পুনর্নিমাণে সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় সড়কে দুই'শো বছরের পুরনো একতলা বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে জেলার শিশু একাডেমি।
কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ খ্যাতনামা সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িটি ভাঙার খবরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় ভারত সরকার বাড়িটি ভাঙা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
_20250716_120807563.jpg)
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ভবনটি বাংলার সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এমন প্রেক্ষাপটে এটি ভাঙার কাজ পুনর্বিবেচনা করা উচিত। ভবনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্কার ও পুনর্নিমাণে মাধ্যমে একে ‘সাহিত্য জাদুঘরে’ রূপান্তর করা যেতে পারে। যা দুই দেশের সংস্কৃতিক মেলবন্ধনকেই তুলে ধরবে।’
সংস্কার কাজে ভারত সরকার সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাড়িটি ভাঙার খবর প্রচারিত হলে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা এ খবরকে দুঃসংবাদ হিসেবে তুলে ধরেন। ঐতিহ্যবাহী এ বাড়ি রক্ষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরষদের একতলা প্রাচীন বাড়িটি ১৯৮৯ সাল থেকে শিশু একাডেমি ভবনটি ব্যবহার শুরু করে। পরিত্যক্ত ও জীর্ণ ভবনটি একাডেমি কর্তৃপক্ষ ২০০৭ সালের পর আর ব্যবহার করেনি। সেই থেকে এটি পড়ে রয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের বাড়ি ভাঙার বিষয়ে শিশু একাডেমি এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে।’
বলে রাখা ভালো, হরিকিশোর রায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর মসূয়ার জমিদার। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ।
ইএইচ/

