ঈদের নাটকের মধ্যে ট্রেন্ডিংয়ে ‘আশিকি’। এক দিনে সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া বাংলা নাটকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত কাজটি। স্বাভাবিকভাবেই সকল প্রশংসা যাচ্ছে অভিনেতার ঝুলিতে। এর বাইরেও তার একগুচ্ছ নাটক প্রকাশ পেয়েছে। হয়েছে দর্শকপ্রিয়। সেসব নিয়েই ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথোপকথন জমেছিল অভিনেতার।
ঈদ কেমন কেটেছে?
বিজ্ঞাপন
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো কেটেছে। পরিবারের সঙ্গে সাথে ছিলাম। মুহূর্তগুলো দারুণ ছিল।

একদিনে সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া বাংলা নাটকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘আশিকি’। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল?
ঈদে নাটকগুলোর মধ্যে আমার নাটক (‘আশিকি’) ট্রেন্ডিংয়ে আছে। ভালো লাগছে। একদিনে সবচেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া বাংলা নাটকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘আশিকি’। এটা প্রত্যাশিত ছিল না। তবে আমরা ভেবেছিলাম কনটেন্টটা মানুষ দেখবে। কেননা ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা ছিল। যেহেতু রকস্টার ক্যারেক্টারে আগে অভিনয় করিনি। সব মিলিয়ে ওরকম প্রত্যাশা ছিল না৷ ওই জায়গা থেকে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি। তিনদিনে এক কোটি ভিউজ হয়েছে। এটা বাংলা নাটকের ইতিহাসে কখনও হয়নি।
বিজ্ঞাপন
‘আশিকি’ নাটক নিয়ে সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ। তাদের নিয়ে কিছু বলার আছে?
আমরা নাটকটির টিজার রিলিজ করেছিলাম। বিশ-ত্রিশ সেকেন্ডের ছোট একটা ক্লিপ। ট্রেলার তো থাকে দেড়-দুই মিনিটের মতো। ওটা রিলিজ করিনি। টিজার দেখেই মানুষ অনেক কিছু বলেছে। তবে আমি কাউকে কিছু বলিনি। শুধু নাটকটির অপেক্ষা করেছি। চেয়েছি পুরো নাটক দেখে মানুষ বিচার করুক। এজন্য দর্শকদের নিয়ে কিছু বলার নেই।

এবার ঈদে আপনার বেশ কয়েকটি নাটক এসেছে। দর্শকপ্রিয়তায়ও এগিয়ে সেগুলো। আপনার কোনটা ভালো লেগেছে?
‘আশিকি’ ছাড়াও আমার পছন্দের নাটকের তালিকায় আছে ‘মায়াবতী’। আমার খুব পছন্দের কাজ। এরপর ‘সম্মান’। তারিক আনাম খান, কেয়া পায়েল এবং আমি অভিনয় করেছি। দর্শক খুব পছন্দ করছেন। ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি কাজ করেছি। গত বছর থাইল্যান্ডে শুটিং করেছিলাম। এক তরুণকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার পর স্ট্রাগল করতে হয়। প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। পরে ছেলেটা সফল হয়। মাকে বিদেশে নিয়ে যায়। এসব নিয়েই নাটকের গল্প। ওই কাজটিও খুব সুন্দর। মাহবুবুর রশিদ বান্নাহর পরিচালনায় নাটকটিতে মনিরা মিঠু, সাফা কবির আর আমি কাজ করেছি। আরও কিছু কাজ আসছে। যেমন ক্যাপিটাল ড্রামাতে ‘মিথ্যা প্রেমের গল্প’। আজ (বুধবার) সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে তানজিম সাইয়ারা তটিনী ও আমার ‘মন বদল’। ‘এলিয়েন বেবি’ নামে আরও একটি কাজ আসবে। ঈদের আরও একটি পছন্দের কাজ হচ্ছে ‘জালিয়াত‘। কেয়া পায়েল, পাভেল, শ্যামল মাওলা আর আমি অভিনয় করেছি। বলতে গেলে নিজের কাজগুলোতে ভ্যারিয়েশন রাখার চেষ্টা করি। এবারও ব্যাতিক্রম হয়নি।
নাটকের ক্ষেত্রে অনেকে ভিউকে তাচ্ছিল্য করেন আবার অনেকে ভিউয়ের ওপর জোর দেন। আপনার কাছে কতটা গুরুত্ব পায়?
একেকজনের একেক রকম পয়েন্ট অব ভিউ। কেউ ভিউকে তাচ্ছিল্য করেন। কেউ আবার ভিউয়ের ওপর জোর দেন। আমি বলব ভিউ কোনো খারাপ কিছু না। কারণ আমরা চোখের সামনে দেখতে পারছি কতজন আমাদের নাটক দেখছেন। কতজন ইউটিউবে মন্তব্য করছেন। আগে টিআরপিতে দেখতে হতো কোন নাটকটা এগিয়ে আছে। অপেক্ষা করতে হতো চ্যানেলের রিপোর্টের জন্য। এখন আর দরকার পড়ে না। এদিক থেকে আমার কাছে মনে হয় এটা ভালো৷

ঈদের সিনেমাগুলো দেখা হয়েছে? কোনটা বেশি ভালো লেগেছে?
ঈদের পরের দিন ‘তাণ্ডব’ দেখেছি। খুব ভালো লেগেছ। উপভোগ করেছি। শাকিব খানের ছবির টিকিট পাওয়া যায় না। তাই ঈদের আগে কেটে রেখেছিলাম। স্ত্রীসহ গিয়েছিলাম। শাকিব খানের শেষ তিন সিনেমাই দেখেছি। 'উৎসব' সিনেমাটা মা ও স্ত্রীকে নিয়ে দেখার ইচ্ছা আছে।
শুটিংয়ে ফিরছেন?
শুটিংয়ে ফিরেছি। আজ (বুধবার) একটা কাজ করেছি। কাজটি ঈদের আগের ছিল। কোনো কারণে করা হয়নি। এখন শেষ করছি। এরপর একটা বিরতি নেব। দুই মাসের লম্বা একটা বিরতি নেওয়ার ইচ্ছা আছে। দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব। কারণ শেষ কয়েক মাস আমার ওপর বেশ ধকল গেছে।
আরআর

