ঈদের দিন থেকে দেশ জুড়ে চলছে শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘তাণ্ডব’। কোনো এলাকায় থিয়েটার না থাকায় অস্থায়ী হলেও ছবিটির প্রদর্শনী চলছে। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ অডিটোরিয়ামে একইভাবে ঈদের দিন থেকে চলছিল 'তাণ্ডব'। তবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে ছবিটি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে পারকি ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। যদিও সেসব উপেক্ষা করে ছবিটির প্রদর্শনী চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রদর্শনী বন্ধ করতে হয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা চললেও চুপ রয়েছেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক। তাণ্ডব প্রদর্শনীতে বাঁধা দেওয়া প্রসঙ্গে রায়হান রাফীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। রাফীর কথায়, ‘যেহেতু এটা ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে কথা অতএব ভাইয়ার (শাহরিয়ার শাকিল) সঙ্গে কথা বলুন।’
রাফীর দেখানো পথে যোগাযোগ করা হয় শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে শাকিল বলেন, ‘আমি এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। আপনি একটু পর করুন। বিষয়টি আমি জেনে নেই। তারপর কথা বলি।’ পরে ফোন করা হলে শাকিল একই মন্তব্য করেন।
সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার হেড অব মার্কেটিং কামরুজ্জামান সাইফুল। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, 'সব জায়গা থেকে সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতি নেওয়া ছিল। সার্টিফিকেশন বোর্ডের ইউনিভার্সেল রেটেড সার্টিফিকেট ছিল। তবু সিনেমা প্রদর্শনীতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি হাত জোড় করে মাফ চেয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের আর্জি জানালাম। আলেম সমাজ অনড়। আমাকে কালই চলে যেতে হবে।'
বিজ্ঞাপন
সাইফুল টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকায় অডিটোরিয়াম ভাড়া নিয়েছিলেন, পাঁচ দিনের অগ্রিমও দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ঈদের আগের দিন থেকে স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে মাইকে 'তাণ্ডব' প্রদর্শনী বন্ধ করতে বলা হয়। পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর একটি মিছিল বের হয়, যা স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হলে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। ঈদের দিন মাত্র ২০-২৫ জন দর্শক নিয়ে সন্ধ্যার শো চলে।
সাইফুল বলেছিলেন, 'পরদিন সিনেমা হল বন্ধে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমা দেওয়া হয়। ঈদের আগেই পুলিশি সহায়তা চেয়ে থানায় আবেদন করি। কিন্তু থানা থেকে কোনো সহায়তা করা হয়নি। ঈদের ছুটিতে টাঙ্গাইল ডিসি ও এসপি অফিসে যোগাযোগ করেও সাহায্য পাইনি। তবু ঈদের পরদিন অডিটোরিয়াম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিই। সেদিন মিছিল না হলেও তারা সমাবেশ করেন।'
এদিকে ছবির প্রযোজক পরিচালক চুপ থাকলেও প্রতিবাদ করেছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
আরআর