ঐতিহাসিক সিনেমার জন্য এলাহি আয়োজন করে বলিউড ও দক্ষিণী নির্মাতারা। গল্পের প্রয়োজনে দৃশ্যে দেখা মেলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি। এসব দৃশ্য কখনও কখনও গ্রাফিক্সের মাধ্যমেও নির্মাণ করা হয়। তবে ‘গান্ধী’ সিনেমার একটি দৃশ্য ধারণের জন্য ৩ লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল। যা গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ে।
গিনেস ওয়ার্ল্ডের ওয়েব সাইটের তথ্য বলেছে, ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি দিল্লিতে ‘গান্ধী’ সিনেমার ঐতিহাসিক দৃশ্যের শুটিং করেন পরিচালক রিচার্ড। মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের দৃশ্যে ৩ লাখ মানুষ অংশ নেন। শুটিং টিম দৃশ্যটির জন্য টাকার বিনিময়ে ৯৪ হাজার এবং ২ লাখ স্বেচ্ছাসেবীকে একত্রিত করেছিলেন। সিনেমাটি নির্মাণ করা হয় মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের প্রায় ৩৩ বছর পর।
বিজ্ঞাপন
সিনেমাটিতে গান্ধী চরিত্রে অভিনয় করেন বেন কিংসলে। এ অভিনেতা যখন চুপচাপ শুয়ে ছিলেন, তখন তার চারপাশে হাজার হাজার মানুষ হাঁটছিলেন। যা সত্যিকার অর্থে খুবই আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করেছিল। আর এই দৃশ্যে মানুষের উপস্থিতি বোঝাতে এতে কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়নি।
‘গান্ধী’ সিনেমায় দৃশ্যটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২ মিনিট ৫ সেকেন্ড। এজন্য এলাহি আয়োজন করতে হয়েছিল। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনী, স্থানীয় কিছু গ্রুপ সহযোগিতা করেছিলেন। এই দৃশ্যটি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ড গড়েছে। সিনেমায় অত্যাধিক এক্সট্রা ব্যবহারের দিক থেকে এই রেকর্ড গড়ে সিনেমাটি। এখনও এই রেকর্ড কোনো সিনেমা ভাঙতে পারেনি। ‘গান্ধী’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২২ মিলিয়ন ডলার। ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর সিনেমাটি আয় করে ১২৭.৮ মিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞাপন
ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক মহাত্মা গান্ধী। শান্তি, মুক্তি ও মানবতার প্রতীক তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ৬ মাসের কম সময়ের ব্যবধানে অর্থাৎ ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।
ইএইচ/

