হাসপাতালে শয্যাশয়ী কবর খোদক মনু মিয়ার ঘোড়া হত্যার ঘটনাটিতে হতবাক নেটিজেনরা। অনেকে প্রকাশ করেছেন শোক। বিষয়টি নাড়িয়ে দেয় অভিনেতা খায়রুল বাসারকেও।
মনু মিয়াকে ঘোড়া কিনে দেবেন জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে মনু মিয়ার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করে যোগাযোগ করিয়ে দিতে নেটিজেনদের সহযোগীতা কামনা করেন। অতঃপর কবর খোদক মনু মিয়ার সঙ্গে কথা খায়রুল বাসারের।
বিজ্ঞাপন
এরপর নিজের ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়ে খায়রুল বাসার মনু মিয়ার সঙ্গে নিজের ফোনালাপের কিছু অংশ তুলে ধরেন। যে কথোপকথন হুবহু তুলে দেওয়া হলো।
‘‘নাই বেডার নাই, আছে বেডারই যায়
হেলো... কেডা?
- আপনি মনু মিয়ার কে হন?
আরে ফাগল আমিই তো মনু মিয়া!
ওনার কণ্ঠ ওনার বয়স অনুপাতে অনেক শক্ত। ওনার পুরনো শরীরের বিপরীতে ও নার মন আর কণ্ঠ অনেক বেশি দৃঢ় মনে হলো।
ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম
- কাকা কেমন আছেন?
- আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অনেক বালা রাকছে। তুমি কেডা? বাড়ি কই?
- কাকা আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ।
কাকা বললেন, তাইলে তো তুমি আমার বাড়ির কাছই।
তারপর অনেক কথা শেষে বললাম - কাকা মন খারাপ কইরেন না, সব আল্লাহর ইচ্ছা, আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দিবেন।আপনাকে সুন্দর একটা ঘোড়া দিবো আমরা।
ধুরু.... তুমি আছো মন কারাফ লইয়া আর গুরা লইয়া! হুনো, নাই বেডার নাই , আছে বেডারই যায়। তোমার সাথে কথা কইয়া বালা লাগছে তুমি আইয়ো।
- আসতেছি...’’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেইলকে খায়রুল বাসার বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে লেখার পর সাংবাদিক ভাইদের অনেকে আমাকে মনু মিয়ার ফোন নাম্বার দিয়ে সহায়তা করেছেন। আমি ফোন করেছিলাম। প্রথমে চাচি (মনু মিয়ার স্ত্রী) কল ধরেছিলেন। পরে তিনি চাচাকে (মনু মিয়া) দেন। এরপর তার সঙ্গে কথা হয়। কথা বলে জানতে পারলাম ওনার সঙ্গে এরকম আগে থেকেই হয়ে আসছে। দেখি শুটিং সেরে রাতে দেখতে যেতে পারি।’
এর আগে মনু মিয়াকে দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে অভিনেতা লিখেছিলেন, ‘মনু মিয়াকে আমি ঘোড়া কিনে দিতে চাই। বিনিময়ে আমার কবর খোঁড়া পর্যন্ত আল্লাহ উনাকে বাঁচিয়ে রাখুন। কেউ যদি মনু মিয়ার সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন কৃতজ্ঞ থাকব।’

