আজ শনিবার ভোরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন দেশে বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী। বাবা–মায়ের কবরে দাফন করা হচ্ছে তাকে।
ঢাকার আজিমপুরে একই কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বাবা পল্লিগীতির অগ্রপথিক আব্বাসউদ্দীন আহমদ ও তার মা লুৎফুন্নেসা আব্বাস।
বিজ্ঞাপন
আজ বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে মুস্তাফা জামান আব্বাসীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্বাসউদ্দীন আহমদের যোগ্য উত্তরসূরি মুস্তাফা জামান আব্বাসী। বাবার সুর পেয়েছিলেন তিনি। কণ্ঠে তুলেছেন অসংখ্য গান। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি পেয়েছে কালজয়ী গানের তকমা।
মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কালজয়ীর গানগুলোর একটি এই পথ যদি না শেষ হয়। সুরের অনবদ্য সৃষ্টি এটি। গানটিতে জীবনযাত্রা প্রতীকী রূপে তুলে ধরা হয়েছে।
মুস্তাফা জামান আব্বাসীর গাওয়া অন্যতম আরেকটি লোকগীতি ‘জ্বলেয়া গেইলেন মনের আগুন’। তাঁর কণ্ঠে গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
বিজ্ঞাপন
কণ্ঠে লালন ফকিরের গানও তুলেছেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। এমন মানবজনম আর কি হবে শিরোনামের গানটি এ গায়কের কণ্ঠে ভিন্ন এক মাত্রা পেয়েছে।
ওরে নীল দরিয়া গানটিও মুস্তাফা জামান আব্বাসীর কালজয়ী গানগুলোর একটি। দেশাত্মবোধক ও নদীভিত্তিক এ গানে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষের জীবন সংগ্রাম ও নদীর প্রভাবকে তুলে ধরে।
এরকম আরও বেশ কয়েকটি গান সুবাস ছড়িয়েছে বরেণ্য এই গায়কের কণ্ঠে। এরমধ্যে তুমি কেন বোঝ না, আমার কার জন্যে প্রাণ উল্লেখযোগ্য।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাধ্যর্কজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ শনিবার (১০ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।