ঢালিউড চলচ্চিত্র ও ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ইরেশ যাকের। ক্যারিয়ারে এক গুচ্ছ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সিনেমা ‘ছুঁয়ে দিলে মন’- এ খলনায়কের চরিত্র দর্শকদের চমকে দিয়েছিল। সম্প্রতি অভিনেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে মিরপুর থানায় মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে তিনি কি সত্যি ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন? এ প্রশ্নের উত্তর– না। অভিনেতার একাধিক সহকর্মী নিশ্চিত করেছেন, আগস্ট মাসের ১ তারিখ ফার্মগেটে সব অভিনেতাদের সঙ্গে পুরোটা সময় ইরেশ যাকের এবং তার স্ত্রী দাঁড়িয়েছিলেন 'জুলাই হত্যাকাণ্ডের' প্রতিবাদে।

অভিনেতার ফেসবুক টাইমলাইন ঘুরেও প্রমাণ পাওয়া গেছে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেছেন। এ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ২৬ জুলাই এক পোস্টে অভিনেতা লিখেছিলেন, ‘আমাদের কন্যা মেহার বয়স পাঁচ। মেহা তো দুপুরে ছাদে খেলতে যেতে পারত। ভেবে দেখলাম মেহা যদি ইউনিভার্সিটিতে পড়ত। রাস্তায় যেতে চাইত। আমি থামাতাম না। থামাতে পারতাম না। ও যদি ফেরত না আসত। আমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু গর্বে আমার বুকটা ফেটে যেত।’
বিজ্ঞাপন
অভিনেতা যোগ করেন, ‘আমি চাইতাম রাষ্ট্র যাতে ওকে বীরের মর্যাদা প্রদান করে। ওর (মেহা) খুনিদের বিচার করে। দায়ের ফুটবল খেলা দেখা আর নানারকম ধানাই ফানাই শোনার অবস্থা আমার থাকত না।’

এরপরই ৩০ জুলাই যখন সারাদেশে একযোগে সবাই আন্দোলনে শহীদের স্মরণে ফেসবুক টাইমলাইন ‘লাল’ করেছিল। সেদিনও অভিনেতা তার টাইমলাইন ‘লাল’ করে আন্দোলনের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলে।
'ইরেশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হাস্যকর'
অভিনেতার ফেসবুক জুড়ে আন্দোলনের পক্ষে নানা পোস্ট দেখা গেছে। ৫ আগস্ট রাতে সরকার পতনের একদফা দাবি ঘোষণা করে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। ছাত্রদের একদফাকে সমর্থন জানিয়ে ওইদিন সকাল ৭টায় এক পোস্টে অভিনেতা লেখেন, ‘আজকে যারা বের হবেন ফোনের ওয়াল পেপার এবং স্ক্রিন সেভারে নিজের নাম, পারিবারিক বা নিকটস্থের যোগাযোগ নাম্বার লিখে রাখবেন।

তিনি যোগ করেন, ‘ব্লাড গ্রুপ,শিক্ষা অথবা পেশাগত সংগঠনের নাম, এই তথ্যগুলো দিয়ে রাখবেন। সবার সুস্থতার জন্য মনে-প্রাণে দোয়া করছি।’
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আরও একটা পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘এই বিজয় হউক শান্তিপূর্ণ। ওরা আমাদের সেরকমই শিখিয়েছে। সব শহীদদের স্মরণে।’
নায়িকা মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বলে রাখা ভালো, অভিনেতাসহ এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির দুই মেয়রসহ মোট ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রাবণের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী। অভিযোগের পর গতকাল রোববার (২৭ এপ্রিল) আদলত মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ইএইচ

